Chronic Kidney Disease Symptoms: কিডনির 'এই' সমস্যা থাকলে সাবধান, প্রস্রাবের সঙ্গে বেড়িয়ে যায় 'সব' প্রোটিন! সতর্ক না হলেই ভয়ঙ্কর বিপদ...
- Published by:Sounak Chakraborty
Last Updated:
Chronic Kidney Disease Symptoms: প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন থাকা ক্রনিক কিডনি ডিজিজের প্রথম সঙ্কেত হতে পারে। সময়মতো স্ক্রিনিং না হলে কিডনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরে অন্তত একবার প্রস্রাব পরীক্ষা করানো জরুরি...
advertisement
1/11

চিকিৎসকরা প্রোটিনের মাত্রা প্রস্রাবে কতটা রয়েছে তা সবসময় নজরে রাখেন। কারণ, এটা কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার প্রাথমিক ও গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এমন একটি অসুখ, যা ধীরে ধীরে শরীরে বিস্তার লাভ করে এবং অনেক সময় রোগী বুঝতেই পারেন না।
advertisement
2/11
দি ল্যানসেট অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এই রোগ মোকাবিলার সেরা উপায় হল সময়মতো স্ক্রিনিং এবং চিকিৎসা শুরু করা।
advertisement
3/11
প্রস্রাবে প্রোটিন থাকলে তা কী করে বোঝা যায়? যখন কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না, তখন শরীর থেকে প্রোটিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। কিডনির ফিল্টারে সমস্যা হলে অ্যালবুমিনের মতো প্রোটিন প্রস্রাবে চলে আসে, যাকে বলে প্রোটিনিউরিয়া বা অ্যালবুমিনিউরিয়া। এটি ক্রনিক কিডনি ডিজিজের প্রথম এবং সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ।
advertisement
4/11
অসুস্থ কিডনির আরও কিছু লক্ষণ কী কী? বমি বা বমি ভাব: রক্তে বর্জ্য জমে গেলে এই লক্ষণ দেখা যায়। খিদে কমে যাওয়া: অল্প খাবার খেলেই পেট ভরা মনে হয়। দুর্বলতা ও ঘুমের সমস্যা: পেশিতে টান ধরা এবং ক্লান্তি অন্যতম লক্ষণ।
advertisement
5/11
এছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন প্রস্রাবে পরিবর্তন: বেশি বা কম প্রস্রাব হওয়া, যা কিডনির সমস্যার সূচনা, উচ্চ রক্তচাপ: ডায়াবেটিস বা হাই প্রেশার থাকলে কিডনি সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়, পা ও গোড়ালিতে ফোলা: অতিরিক্ত জল শরীরে জমা হয়ে এই সমস্যা সৃষ্টি করে।
advertisement
6/11
প্রাথমিক স্ক্রিনিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? CKD অনেক সময় কোনও লক্ষণ ছাড়াই শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। শেষ পর্যায়ে পৌঁছালে ডায়ালিসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায়। এই অস্ত্রোপচারে এক জন জীবিত বা মৃত ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
advertisement
7/11
মণিপাল হাসপাতাল, গুরগাঁও-এর ইউরোলজিস্ট ডঃ নীতিন শ্রীবাস্তব বলেন, “প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি কখনও অবহেলা করবেন না। এটা শরীরের নিঃশব্দ কিন্তু ধ্বংসাত্মক রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।” তাঁর মতে, নিয়মিত চেকআপ ও প্রস্রাব পরীক্ষা হতে পারে জীবনরক্ষাকারী পদক্ষেপ।
advertisement
8/11
যাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, স্থূলতা বা পারিবারিক ইতিহাসে কিডনি রোগ রয়েছে—তাঁদের নিয়মিত স্ক্রিনিং অবশ্যই করানো উচিত। প্রস্রাবের প্রোটিন পরীক্ষা খুব সহজ এবং সুলভ একটি উপায়, যা অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
advertisement
9/11
কোন মুহূর্তে সতর্ক হবেন? হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, পা ফোলা, প্রস্রাবের রঙ বা পরিমাণে পরিবর্তন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা ইত্যাদি হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি রোগ ধরা পড়বে, ততই সফলভাবে তার চিকিৎসা সম্ভব।
advertisement
10/11
শেষ কথা কী? ক্রনিক কিডনি ডিজিজ নিঃশব্দ ঘাতক হতে পারে। তাই সচেতনতা, সময়মতো স্ক্রিনিং এবং জীবনধারায় পরিবর্তন আনাই একমাত্র পথ। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য প্রস্রাবে প্রোটিন পরীক্ষাকে গুরুত্ব দিন।
advertisement
11/11
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Chronic Kidney Disease Symptoms: কিডনির 'এই' সমস্যা থাকলে সাবধান, প্রস্রাবের সঙ্গে বেড়িয়ে যায় 'সব' প্রোটিন! সতর্ক না হলেই ভয়ঙ্কর বিপদ...