Cancer Symptoms in young: ৫০ বছর থেকে কম বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে ক্যানসার! আপনিও হতে পারেন শিকার, অবহেলায় সময়ের আগেই হতে পারেন ছবি...

‘ক্যানসার’ নামটা শুনলেই মানুষের মনে ভয় ঢুকে যায়। কারণ এই মারণ রোগটি যদি সময়মতো ধরা না পড়ে, তাহলে জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ক্যানসার শরীরের একাধিক অঙ্গকে আক্রমণ করে এবং ধীরে ধীরে রোগীকে দুর্বল করে তোলে। তাই ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায়, চিকিৎসার সাফল্যের সম্ভাবনাও তত বাড়ে।

সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কম বয়সিদের মধ্যেও ক্যানসারের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষত ৫০ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে স্তন ক্যানসার, লিম্ফোমা এবং কোলন ক্যানসারের মতো ক্যানসারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এছাড়াও, টেস্টিকুলার, কিডনি ও প্যানক্রিয়াস ক্যানসারের কেসগুলোও বাড়ছে, যদিও এদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে এখনও কম।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিক কী কারণে ক্যানসার হচ্ছে তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, শরীরের কোনও অংশে ফোলা, গাঁট তৈরি হওয়া, ব্যথা বা রক্তপাতের মতো উপসর্গে ভুগছেন, তাদের অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ এগুলি ক্যানসারের প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে।

পেট বা মলত্যাগের অভ্যাসে অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে তা কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। যেমন—মলের রং কালো হয়ে যাওয়া, মলে রক্ত দেখা দেওয়া ইত্যাদি। যুক্তরাষ্ট্র সহ সারা বিশ্বে গত এক দশকে কোলন ক্যানসারের হার বেড়েছে। একে পরিবেশ ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

যদি কোনও ব্যক্তি হঠাৎ করেই ওজন হারাতে শুরু করেন, ঘন ঘন ক্লান্তি অনুভব করেন, অথবা ঘুমের প্যাটার্নে পরিবর্তন আসে, তাহলে এটি ক্যানসারের প্রাথমিক সতর্কতা হতে পারে। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া বা হজমের সমস্যা দেখা দিলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ত্বকে যদি নতুন কোনও দাগ বা গাঁট দেখা যায় কিংবা পুরনো কোনও দাগে পরিবর্তন আসে, তাহলে সেটি স্কিন ক্যানসার যেমন মেলানোমার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

প্রস্রাবে রক্ত দেখা কিডনি বা ব্ল্যাডারের ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের মাঝে বা শারীরিক সম্পর্কের পর রক্তপাত হওয়া সার্ভাইকাল বা এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

রাতের ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম, জ্বর, কাঁপুনি বা দুর্বলতা অনুভব করলে তা লিম্ফোমার ইঙ্গিত হতে পারে। এটি এমন এক ক্যানসার যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। শরীরে অস্বাভাবিক গাঁট বা ফোলা দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো উচিত।

বিনা কারণে শরীরের কোনও অংশে নীল ছোপ পড়া, ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া, মারাত্মক ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণ লিউকেমিয়া অর্থাৎ রক্তের ক্যানসারের চিহ্ন হতে পারে। হাড়ে ব্যথা বা অদ্ভুত কোনও ব্যথা হলে তা সারকোমা নামক ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন, মাথাব্যথা বা পিঠে ব্যথা হলে তা মস্তিষ্ক বা স্পাইন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

দিল্লির ডাক্তার অমিত সেন বলেছেন, "শরীরের সামান্য পরিবর্তনও গ্রহের প্রভাবে বড় রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। শনির অবস্থান দুর্বল হলে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে। তাই স্বাস্থ্য ও জ্যোতিষ—দুটো দিকেই নজর রাখা জরুরি।"

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।