Reels & Short Video Addiction: মোবাইলে বেশি Short Video, Reels দেখলে মগডালে উঠবে ব্লাড প্রেশার! হার্টের দফারফা! উবে যাবে রাতের ঘুম! আর কী কী মারণরোগ ডেকে আনে এই নেশা? জানুন

ছোট ভিডিও এবং ইনস্টাগ্রাম রিলস খুবই বিনোদনমূলক হতে পারে৷ ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলিতে এই ছোট ভিডিও ফর্ম্যাটটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মানুষ সারা দিন তাঁদের ফোন স্ক্রোল করে যান৷ একের পর এক রিলস দেখেন৷ এতটাই যে এটা কারওর কারওর কাছে আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।

তবে, ছোট ভিডিওগুলির প্রভাব মোটের উপর ভাল খবর নাও হতে পারে। চিনের তিয়ানজিন সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণা অনুসারে, ছোট ভিডিও ক্লিপগুলির মধ্যে পরিবর্তন মস্তিষ্কের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেয়।

এই গবেষণাটি ১৭ থেকে ৩০ বছর বয়সি ১১১ জনের উপর করা হয়েছিল, যারা প্রায়ই ছোট ভিডিও দেখেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দু’ মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ৯৫ মিনিটের ছোট সিনেমা দেখতে বলা হয়েছিল এবং এমআরআই দ্বারা তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ট্র্যাক করা হয়েছিল।

ফলাফল ছিল চমকপ্রদ। দেখা গিয়েছে যে অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ আসক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়ে বলে মত গবেষকদের৷

শর্ট ভিডিও দেখলে চিন্তাভাবনা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে৷ মন সব সময় তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে চলে যায়৷ ফলে সার্বিক ভাবে মনঃসংযোগে অত্যন্ত সমস্যা হয়৷ বলছেন চিকিৎসক সুদীপ কৃষ্ণমূর্তি৷

গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন যে যত বেশি ছোট ভিডিও দেখেন, তত বেশি মনোযোগের সমস্যায় পড়েন। তাঁদের লড়াই করতে হয় অনিদ্রার বিরুদ্ধেও। ছোট ভিডিও আসক্তির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ঈর্ষাকে দেখা গেছে।

শর্ট এবং রিলস বেশি দেখলে প্রায়ই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বেড়ে যায় মনের মধ্যে৷ বাস্তবতা এড়িয়ে যেতে ভাল লাগে৷ সব মনোযোগ চলে যায় শর্ট ভিডিও এবং রিলসের দিকেই৷ ফলে সতর্ক করছেন মনোবিদরা৷ শর্ট ভিডিও, রিলস দেখুন৷ সাময়িক বিনোদন পাবেন৷ কিন্তু একে অভ্যাস বা আসক্তিতে পরিণত করে ফেলবেন না৷

মানসিক সমস্যার পাশাপাশি থাকে শারীরিক জটিলতাও৷ মধ্য বয়সিদের ক্ষেত্রে রিলসের প্রতি আসক্তি থেকে আসতে পারে উচ্চরক্তচাপ এবং হৃদরোগের সমস্যাও৷