মাথায় বাজ পড়ে রাজ্যে মৃত ১৭! কখন-কোথায় বাজ পড়বে...হরদম অ্যালার্ট দেবে মোবাইল স্ক্রিন! এই অ্যাপের কথা জানেই না মানুষ
- Published by:Satabdi Adhikary
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
২০১৯ সালের নভেম্বরে Indian Institute of Tropical Meteorology পুণে এবং ভারত সরকারের Earth System Science Organisation দামিনী নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। বজ্রপাতের আগাম সতর্কতার অ্যালার্ট দেওয়াই এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান কাজ। মোবাইল গ্রাহকের ইউজার লোকেশন অন থাকলে তবেই এই অ্যাপ কাজ করে।
advertisement
1/7

কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ একদিনে এতজনের বজ্রাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তায় আবহবিদেরা৷ প্রশ্ন উঠছে, আগাম সতর্কতা হিসাবে দামিনী অ্যাপ চালু করা হলেও, তার কার্যকারিতা কি আদৌ রয়েছে? Generated image
advertisement
2/7
প্রাথমিকভাবে, দামিনীর অ্যাপের সতর্কতা পরিধি ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ হলেও, সার্বিকভাবে ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত বাজ পড়ার ন্যূনতম আশঙ্কা আছে কি না, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জানিয়ে দেয় এই দামিনী অ্যাপ। Generated image
advertisement
3/7
উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপ ব্যবহারকারী নিজের লোকেশনে বসে দামিনী অ্যাপ নিজের ফোনে খুললে অ্যাপ দেখিয়ে দেয়, আগামী এক ঘণ্টায় সেখানে কোথাও কোনও বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে কি না। যেই মুহূর্তে সম্ভাবনা তৈরি হবে, সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ ওপেন করুন বা না করুন, আপনার স্ক্রিনে দামিনী অ্যাপ ক্রমাগত অ্যালার্ট পাঠাতে শুরু করবে। তবে শর্ত একটাই, অ্যাপ ব্যবহারকারীকে ফোনের ডেটা অন রাখতে হবে। এবং আপনার জিপিএস অন রাখতে হবে। ব্যাস তাহলেই নিরন্তর সতর্ক করার দায়িত্ব দামিনীর। Generated image
advertisement
4/7
স্থানীয় বজ্রপাতের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে এই অ্যাপ ক্রমাগত গ্রাহককে অ্যালার্ট দিতে থাকে। তবে, সেক্ষেত্রে গ্রাহককে সম্ভাব্য বজ্রপাতের এলাকার ২০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে থাকতে হবে। তবে এই ২০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বাজ পড়বে সেই পারফেকশন এখনও পর্যন্ত তৈরি করা যায়নি।
advertisement
5/7
২০১৯ সালের নভেম্বরে Indian Institute of Tropical Meteorology পুণে এবং ভারত সরকারের Earth System Science Organisation দামিনী নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। বজ্রপাতের আগাম সতর্কতার অ্যালার্ট দেওয়াই এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান কাজ। মোবাইল গ্রাহকের ইউজার লোকেশন অন থাকলে তবেই এই অ্যাপ কাজ করে। Generated image
advertisement
6/7
গুগল প্লে স্টোর থেকে যেকোনও অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারি এই অ্যাপ ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারেন। এখনও পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এটাই সর্বাধিক কার্যকরী বজ্রপাত সতর্কতা অ্যাপ। যদিও এই অ্যাপের কথা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে তো বটেই শহরের ক’টা মানুষ জানেন সেটাই প্রশ্ন৷ এখানেই সচেতনতা প্রচারের খামতি চোখে পড়ে৷ Generated image
advertisement
7/7
ঠিক এই জায়গাটায় বাজ পড়বে, তা হয়ত নিশ্চিত করে বলতে পারে না এই অ্যাপ। তবে ঝড়বৃষ্টির মতো বজ্রপাতের পূর্বাভাস এখানে পাওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিরিয়োলজি (আইআইটিএম) এবং আর্থ সায়েন্স সিস্টেম অর্গানাইজেশন (এসো)-এর বাজ চিহ্নিতকরণ সেন্সর বসানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরে। রামপুরহাট, দার্জিলিঙেও এই সেন্সর বসানো হয়েছে। Generated image