RG Kar Case: কোনও আইনজীবীই ছিল না সঞ্জয় রাইয়ের, তাহলে দুই মহিলা আইনজীবী কবিতা-সেঁজুতি কীভাবে এলেন এই কেসে? শুনে চমকে যাবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
RG Kar Case: অনেকেই হয়ত জানেন, আরজি কর মামলা শিয়ালদহ আদালতে ওঠার পর সঞ্জয় রাইয়ের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াতে চাননি। এমনকী সঞ্জয়ের পরিবারের তরফেও কোনও আইনজীবী দেওয়া হয়নি। তাহলে?
advertisement
1/7

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা না হওয়ায় অনেকেই সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছেন সঞ্জয়ের হয়ে মামলা লড়া দুই আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী ও কবিতা সরকার। শেষদিন তীক্ষ্ণ সওয়াল-জবাবে সঞ্জয়ের ফাঁসি রুখে দিয়েছিলেন তাঁরা। আর তারপরই রাতারাতি নজর কেড়েছেন এই দুই মহিলা আইনজীবী। কিন্তু কীভাবে তাঁরা সঞ্জয়ের আইনজীবী হয়ে উঠলেন?
advertisement
2/7
অনেকেই হয়ত জানেন, আরজি কর মামলা শিয়ালদহ আদালতে ওঠার পর সঞ্জয় রাইয়ের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াতে চাননি। এমনকী সঞ্জয়ের পরিবারের তরফেও কোনও আইনজীবী দেওয়া হয়নি। তাহলে?
advertisement
3/7
আসলে এই সব ক্ষেত্রে সরকারের লিগ্যাল ফোরামের তরফে আসামীর হয়ে আইনজীবী দেওয়া হয়। এটা আই আসামীর অধিকারের মধ্যেই পড়ে। আর সেই সূত্রেই লিগ্যাল ফোরামের দুই আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী ও কবিতা সরকার স‍‍ঞ্জয় রাইয়ের হয়ে মামলা লড়েন। তাঁরা দুজনেই সরকারি ফোরামেরই আইনজীবী।
advertisement
4/7
সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ডের মুখ থেকে বাঁচিয়ে এনে সেঁজুতি জানান, একটা দুটো ফাঁসির সাজা দিয়ে সমস্যার সুরাহা হবে না, মহিলাদের কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষার জন্য সিস্টেমের বদল দরকার। তাই ফাঁসি নিয়ে চর্চা না করে আসুন মহিলাদের কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষার জন্য সিস্টেমের বদল নিয়ে আলোচনা করা জরুরি।
advertisement
5/7
কিন্তু এমন একটা আসামীর কি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য নয়? সেঁজুতি জানান, ‘ফাঁসি নিয়ে চর্চা না করে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষার জন্য সিস্টেমের বদল নিয়ে আলোচনা করা উচিত। একটা দুটো ফাঁসি দিয়ে কিছুই হবে না, সিস্টেমের বদল দরকার। দরকার আলোচনা। কেন অপরাধ হয়, কীভাবে এর উৎপত্তি-এগুলো অনেক দীর্ঘ আলোচনা। সমাজ কী এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে তৈরি? আসলে কিছু হলেই আমরা ফাঁসি, ফাঁসি বলে চিৎকার করি। কিন্তু ফাঁসি যদি সমাধান হত, তাহলে তো তারপরে আর অপরাধ হত না। বাস্তবে কি তা হয়?’
advertisement
6/7
এদিকে, কবিতা সরকার হুগলির মহসিন কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছিলেন। আলিপুর কোর্টে নিজের আইনি কেরিয়ার শুরু করেন। মূলত দেওয়ানি মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীতে ফৌজদারি আইনের মামলাও লড়তে শুরু করেন।
advertisement
7/7
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিতে যোগ দেন। সেই বছরের জুনেই শিয়ালদহ আদালতে যুক্ত হন তিনি। তাঁরই সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেঁজুতি চক্রবর্তীও। আর এই দুজনে মিলেই জোর সওয়াল করে মৃত্যুদণ্ডের মুখ থেকে কার্যত বাঁচিয়ে আনেন সঞ্জয় রাইকে।