বাঙালির প্রিয় পোস্ত, তাতে দেদার মিশছে ভেজাল, জানুন পুরো সত্যিটা
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
দেদার টাকা দিয়ে পোস্ত বলে যেটা কিনে আনছেন সেটা আসলে কি?
advertisement
1/6

আমিষ হোক বা নিরামিষ, সব মেনুতেই কমবেশি পোস্তর ব্যাবহার করে থাকে খাদ্য রসিক বাঙালি। সেই পোস্তর মধ্যে যদি থাকে ভূত! শুনে অবাক হলেও ভেজাল পোস্তর সন্ধান পেল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। Photo-Representative
advertisement
2/6
পুলিশের কাছে অনেকদিন ধরেই খবর ছিল পোস্তা থানা এলাকায় মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে দেদার বিক্রি হচ্ছে ভেজাল পোস্ত। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় সেই পোস্তর চাহিদা বিপুল। কলকাতা সহ শহরতলীর গন্ডি ছাড়িয়ে জেলাতেও রমরমা কারবার এই ভেজাল পোস্তর। পোস্তা থানা এলাকায় মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডের গুপ্তা ট্রেডার্সে পৌঁছাতেই রহস্যের পর্দা ফাঁস করল ইবি-র অফিসারা। পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল পোস্তর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে রামদানা। Photo-Representative
advertisement
3/6
সেই দানা এমনই দেখতে যে পোস্তর দানা ও রামদানা আলাদা করা শুধু কঠিন-ই নয়, কার্যত অসম্ভব। গুপ্তা ট্রেডার্সের সেই দোকানে ইবি-র হানা দেওয়া মাত্রই অফিসারেরা চলে যান দোকানের উপরের একটি গুদাম ঘরে। গুদাম ঘরে যাওয়া মাত্রই হাতেনাতে ধরা পড়ে ভেজাল পোস্তর কারবার। দেখা যায় দুই মহিলা পোস্তর সঙ্গে মেশাচ্ছেন রামদানা। মূলত ভুট্টা, সুজি ও গমের দানার সংমিশ্রণে তৈরি হয় রামদানা। সেই দানা পুরোপুরি দেখতে পোস্তর দানার মত। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বস্তা ভেজাল পোস্ত চোখের সামনে মেলাতে দেখে ইবি-র আধিকারিক। Photo-Representative
advertisement
4/6
দোকানের দুই মহিলা কর্মচারী জানান, ছয় বস্তা পোস্তর সঙ্গে এক বস্তা রামদানা মেশানো হলেই অত্যাধিক মুনাফা হয় মালিকের। রামদানা যে মেশানো হয় তাও স্বীকার করে গুপ্তা ট্রেডার্সের ঐ দুই কর্মচারী। গুপ্তা ট্রেডার্সের মালিক সন্দিপ গুপ্তা জানান, যা কথা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যা।
advertisement
5/6
ইবি-র এক অফিসার যুগল কিশোর দাঁ জানান, গুপ্তা ট্রেডার্স নিয়ে বিভিন্ন তথ্য অনেকদিন ধরেই তারা পাচ্ছিল, শনিবার দুপুরে দোকানে হানা দিয়ে রাম দানার সঙ্গে পোস্ত দানা মেশানোর নমুনা মিলেছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রের খবর দোকানের মালিক সন্দিপ গুপ্তা সেই দোকানের মালিকে গ্রেফতার করে আরও তথ্য পেতে চায় পুলিশ।Photo-Representative
advertisement
6/6
অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে ইবি-র তদন্তকারী অফিসার জানতে চায় কারা ঐ রাসদানা সাপ্লাই করত? কতদিন ধরে এই কারবার চলে? কতজন এই জরিত? কলকাতা সহ কোন কোন জেলায় এই ভেজাল পোস্ত পাওয়া যায়? এই চক্রে আর কতজন সহ একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় ইবি-র অফিসারা। Photo-Representative Input- Susovan Bhattacharjee