সেই নাকি 'কালপ্রিট'! কে এই চণ্ডী? বৌবাজারের বিপর্যয়ের নেপথ্যে ২০১৯ সালের ঘটনা!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Bowbazar Metro Disaster: শুক্রবার সকাল থেকে বৌবাজার এলাকায় আড়াই বছরের ব্যবধানে একাধিক বাড়িতে ফাটল। কারণ অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে এই ঘটনার পেছনে রয়েছে ২০১৯ এর বিপর্যয়।
advertisement
1/7

বৌবাজারে মেট্রোর প্রথম বিপর্যয়ের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের কারণ। শুক্রবার সকাল থেকে বৌবাজার এলাকায় আড়াই বছরের ব্যবধানে একাধিক বাড়িতে ফাটল। কারণ অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে এই ঘটনার পেছনে রয়েছে ২০১৯ এর বিপর্যয়।
advertisement
2/7
আড়াই বছর আগে টানেল বোরিং মেশিন চণ্ডী মাটির নীচে থাকা জলস্তরে ধাক্কা মারে। মাটির ওপরে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে। বিকল হয়ে পড়ে সে নিজেও। এরপরই চণ্ডী এবং উর্বি দুই মেশিনকে তুলে আনতে দুর্গা পিতুরি লেন ও শ্যাকরাপাড়া লেনের মাঝের অংশে তৈরি করা হয় shaft।
advertisement
3/7
মেশিন দুটির সফল উত্তোলনের পরে সেই চৌবাচ্চার মতো shaft এর মেঝেতে কংক্রিটের বক্স তৈরির কাজ শুরু হয়। এই গোটা বিষয়টাই প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিল না। ২০১৯ এর বিপর্যয় এই পরিকল্পনার কারণ।
advertisement
4/7
কংক্রিট বক্স তৈরির সময়েও শিয়ালদহ থেকে কাজ শুরু হয়। সেদিকে কোনও অসুবিধে হয় নি। ধর্মতলার দিকে দীর্ঘদিন টানেল বোরিং মেশিন চণ্ডী আটকে থাকায় সেই অংশের মাটির বাঁধুনি খুব বেশি ছিল না। সেই জায়গায় কংক্রিটের জন্য খোঁড়া হতেই গত কয়েকদিন হওয়া বৃষ্টির জেরে উঠে আসা জলস্তরে আঘাত লাগে। ফলে বেরোতে থাকে বালি ও মাটি মেশানো জল। মাটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়ে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে সংলগ্ন বাড়িগুলোয়। ছড়ায় আতঙ্ক।
advertisement
5/7
সবমিলিয়ে চণ্ডী দীর্ঘদিন আটকে থাকাকেই এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন KMRCL এর আধিকারিকরা।আপাতত স্বস্তিতে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে করপোরেশন লিমিটেড৷ শনিবার সকাল থেকেই কম হয়েছে জল বেরনো৷
advertisement
6/7
কোনওভাবেই আর জল বেরনো আটকানো যাচ্ছে না। যে সব জায়গা থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে আসছিল তা গ্রাউটিং করে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জল বেরনো বন্ধ মানেই গ্রাউটিং বন্ধ করে দেওয়া হবে এমনটা নয়। এক্সটেনসিভ গ্রাউটিংয়ের কাজ চলবেই। একই সাথে আরও একটি স্বস্তির খবর, সুড়ঙ্গ নীচের অংশে বন্ধ হয়েছে মাটির নড়নচড়ন। বিভিন্ন জায়গায় বসানো মিটারে তা ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। ফলে সেটেলমেন্ট হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই কোনও বাড়িতে নতুন করে ফাটল ধরবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
7/7
২০১৯ সালের মতো এ বারও সমস্যার কারণ জল চুঁইয়ে ঢোকা। টানেল বোরিং মেশিন বার করার প্রকোষ্ঠের প্রায় ৩৩.৩ মিটার নীচ থেকে ক্রমাগত জল বেরিয়ে আসছিল। মাটির নীচের প্রায় ৩৮ মিটার অংশের মধ্যে থেকে প্রায় ৯ মিটার অংশ যা এসপ্ল্যানেডের দিকের সেখানেই শুরু হয় এই সমস্যা।