সম্পদ ৫০ কোটি টাকারও বেশি ! এক পয়সাও অকারণে খরচ করেন না ‘পার্বতী ভাবি’, দেখে মনেও হয় না ৫২ বছর হয়ে গেল সাক্ষী তনওয়ারের
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর এক সময়ে, আর এখন তিনি অভিনয় জগতের আলো।
advertisement
1/6

চলচ্চিত্র এবং ছোটপর্দার ধারাবাহিক এমন এক জায়গা যেখানে আর্থিক নিরাপত্তা অর্জন করা মুখের কথা নয়। তবে, একজন অভিনেত্রী তা করে দেখিয়েছেন। আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর এক সময়ে, আর এখন তিনি অভিনয় জগতের আলো। এখন ৫২ বছর বয়সও হয়ে গিয়েছে, কিন্তু দেখে বোঝা যায় না!
advertisement
2/6
কথা হচ্ছে কহানি ঘর ঘর কি-র পার্বতী ভাবির! বালিকা বধূও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা দেয় সাক্ষী তনওয়ারকে। এক সময়ে পরিবার, বিয়ে এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বের মতো বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিকগুলির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন সাক্ষী। হিন্দি ধারাবাহিকটির ডাবিং আসার পর সাক্ষী তামিল সিনেমা জগতেও একটি জনপ্রিয় নাম হয়ে ওঠেন। সাক্ষী তনওয়ারের জন্ম ১৯৭৩ সালে রাজস্থানে। বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই অফিসার।
advertisement
3/6
পড়াশোনায় ভাল সাক্ষী সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এটা কেবল সাক্ষীর ইচ্ছাই নয়, তাঁর বাবারও ইচ্ছা ছিল। সাক্ষী তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। তবে, ভাগ্য সাক্ষীর জন্য অন্য কিছু ঠিক করে রেখেছিল।
advertisement
4/6
সাক্ষীও এখন এটা জানেন যে সময় প্রায়শই জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে। ১৯৯৮ সালে এক বন্ধুর আমন্ত্রণে সাক্ষী তনওয়ার দূরদর্শনে অনুষ্ঠিত একটি অডিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানটি তাঁর জীবনের গতিপথ বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তিনি টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। অভিনয় সাক্ষী তনওয়ারের পছন্দ ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রতিভাও সবার সামনে বেরিয়ে আসে। কহানি ঘর ঘর কি ধারাবাহিক তাঁকে কেন্দ্রে রেখে আটটি সফল বছর পূর্ণ করে অবশেষে থামে। আর সাক্ষীও দর্শকদের ঘরে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।
advertisement
5/6
তবে, কেবল ধারাবাহিক নয়। ছবিও করেছেন, দঙ্গলে আমির খানের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সাক্ষী। তাঁর বয়স এখন ৫২ বছর। বিয়ে করেননি। ২০১৮ সালে জন্ম নেওয়া একটি কন্যাসন্তানকে লালন-পালন করছেন। সম্পদ আর সংসার দুই সামলে রাখতে জানেন, এটাই তাঁর আর্থিক সাফল্যের কারণ। সাক্ষীর বিলাসবহুল জিনিসপত্রের পিছনে টাকা খরচ করার অভ্যাস নেই। তিনি তাঁর সঞ্চয় শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ব্যয় করেন।
advertisement
6/6
সহ-অভিনেতা রাম কাপুর একবার বলেছিলেন যে সাক্ষী যা সঞ্চয় করেছেন, তাতে ছয় পুরুষের অনায়াসে চলে যাবে। সাক্ষী বিলাসবহুল গাড়িও কেনেননি। দীর্ঘমেয়াদে কীভাবে বিচক্ষণতার সঙ্গে অর্থ ব্যয় করতে হয় তার উদাহরণ হিসেবে রাম কাপুর সাক্ষীর উদাহরণই সবার সামনে তুলে ধরেছেন। সাক্ষীর সম্পদের মূল্য ৫০ কোটি টাকারও বেশি!