Bollywood Actress Gossip: সেটে আচমকা জোর করে চুমু! ছোট্ট নায়িকাকে যৌন হেনস্থা... ডাইনি অপবাদ পাওয়া সেই সুন্দরীর ঠিকানা আজ ১০০ কোটির ঘর

আজও তিনি অদম্য। তাঁর মতো সাহসী এই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তা সে অভিনয়ে হোক অথবা সৌন্দর্যে। আজও তিনি যখন কাঞ্জিভরম শাড়ি পরে প্রকাশ্যে আসেন, তাঁর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া যায় না।

কিন্তু এই চেহারার জন্যই প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন, বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ব্যক্তিগত জীবনে বড়ই ওঠানামার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। ব্যর্থ প্রেম জীবনের ফলে আজও শিরোনাম দখল করেন। তাঁকে ‘একাকী’ রূপে বর্ণিত করা হয়।

কিন্তু তাঁর পরিবার তো গোটা দেশই। বলিউডেরই এক অভিনেত্রী তাঁকে ‘ডাইনি’ আখ্যা দিতেও ছাড়েননি। কিন্তু এই তকমাগুলির কোনওটিই তাঁর প্রতিভা এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রতি সুবিচার করে না।

নায়িকার জন্ম ভানুরেখা গণেশন নামে, তামিল সুপারস্টার জেমিনি গণেশন এবং তেলুগু অভিনেতা পুষ্পভল্লির কন্যা অধুনা রেখার। পরিবারের দায়ভার বহন করার জন্য অভিনয় শুরু করতে হয়। ১৯৬৬ সালে তেলুগু ছবিতে প্রথম আত্মপ্রকাশ ১২ বছরের খুদের। ১৫ বছর বয়সে রেখার প্রথম প্রাপ্তবয়স্কের চরিত্রে অভিনয়।

১৯৭০-এ বলিউডে পা রাখার পর থেকে প্রত্যাখ্যান ছিল নিত্যসঙ্গী। এই সময়ে, তিনি ‘দো শিকারী’ ছবিতে তাঁকে না জানিয়ে নায়ক এবং পরিচালক চুম্বন দৃশ্য রেখেছিলেন। হঠাৎই সেই নায়ক তাঁকে চুমু খেতে শুরু করেন, যেটা প্রায় ৫ মিনিট ধরে চলে।

হতভম্ব রেখা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁর সঙ্গে এমন ঘটবে। আজকের সময়ে যে ঘটনা যৌন হয়রানি নামে পরিচিত, তখন সেটি মজার ঘটনা হিসেবে বর্ণিত হত। এই ঘটনাটি ইয়াসির উসমানের লেখা ‘রেখা: অ্যান আনটোল্ড স্টোরি’-তে পাওয়া যায়।

১৯৮৪-এ ‘জমিন আকাশ’-এর সময়ে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন রটে। তাঁরা নাকি ছবির পর একে অপরের কাছাকাছি এসেছিলেন, কিন্তু কোনওদিন এই গুঞ্জন সম্পর্কে কথা বলেননি কেউই। কিন্তু সঞ্জয় দত্তের মা নার্গিস একবার বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন।

তাঁর মতে, রেখা নাকি পুরুষদের কুইঙ্গিত দিতেন এবং তাঁকে ‘ডাইনি’ তকমা দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি। ১৯৭৬-এ নার্গিস বলেছিলেন, ‘‘সে (রেখা) পুরুষদের এমন ইঙ্গিত দিত যেন সহজেই পুরুষেরা তার কাছে যেতে পারে। কিছু মানুষের চোখে সে ডাইনির থেকে কম নয়।

‘‘মাঝে মাঝে মনে হয় আমি তাকে বুঝি। আমি আমার সময়ে অনেক বাচ্চার সঙ্গে কাজ করেছি, যাদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। সে খুবই ছন্নছাড়া তার জীবনে একজন শক্তিশালী মানুষের দরকার।’’

গুজব ছিল যে সঞ্জয় এবং রেখা একে অপরকে বিয়ে করেছেন, তবে অভিনেত্রী ইয়াসির উসমানের জীবনীতে এই ভিত্তিহীন গুজব অস্বীকার করেছেন।

১৯৯০-তে স্বামী মুকেশ আগরওয়াল তাঁর ওড়না ব্যবহার করে আত্মহত্যা করার পর রেখাকে ‘জাতীয় ভ্যাম্প’-এর তকমা দেওয়া হয়। এক সাক্ষাৎকারে মুকেশের মা বলেছিলেন, ‘‘ওই ডাইনি আমার ছেলেকে খেয়ে ফেলেছে। ঈশ্বর তাকে কখনও ক্ষমা করবেন না।’’

প্রেমের জীবনে প্রত্যাখ্যান এবং হতাশাই যেন তাঁর রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। অনেক সংগ্রামের পর রেখা এখন লাইমলাইট থেকে দূরে। বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় একটি ১০০ কোটি টাকার বাংলোতে থাকেন এবং সূত্রের খবর, ৫টি দামি গাড়ি সাজানো তাঁর গাড়িবারান্দায়।