জনতার সদিচ্ছার অভাব, ২৩ লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হল দেশে!
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
ভ্যাকসিন সাক্ষাৎ অমৃততুল্য! সর্বোপরি এটি দেশের জনসম্পদ। কিন্তু তাও বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়েছে।
advertisement
1/6

•হেল্থ সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) সাফ জানিয়েছেন যে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা চলছে। কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত দেশের নানা রাজ্যে প্রায় ৭ কোটি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠিয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে যে এর মধ্যে ৬.৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়নের অভাবে। ভূষণের বক্তব্য অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন সাক্ষাৎ অমৃততুল্য! সর্বোপরি এটি দেশের জনসম্পদ। কিন্তু তাও বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়েছে। এটি যদি রোধ করা না যায়, তাহলে করোনার শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হবে না, উল্টে তা আরও মজবুত হবে।
advertisement
2/6
•তিনি ভুল কিছু বলছেন না! কিন্তু এই জায়গায় এসে সবার আগে যে প্রশ্ন ওঠে, সেটা হল কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নষ্ট হচ্ছে-ই বা কী ভাবে? জানা গিয়েছে যে কোভিশিল্ডের এক ভায়ালে ১০টা ডোজ থাকে। অন্য দিকে, কোভ্যাক্সিনের একটা ভায়ালে থাকে ২০টা ডোজ। কিন্তু একবার এই ভায়াল খুলে ফেললে তা খুব বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করা যায় না। খুলে ফেলার পরে মাত্র ৪ ঘণ্টার পরে পুরো ভায়ালটা ব্যবহার করতে হয়। এই সময় পেরিয়ে গেলে ওই ভায়াল আর ব্যবহারের যোগ্য থাকে না।
advertisement
3/6
•আর এখানেই দেখা দিচ্ছে বিপদ। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং সে কারণে এই দেশের টিকারণ অভিযানও বিশ্বে বৃহত্তম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাঁরা টিকা নিয়েছেন এই দেশে, তাঁরা দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে নগণ্য। ফলে একেকটা ভ্যাকসিনের ভায়ালের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে টিকা নেওয়ার লোক!
advertisement
4/6
•রাজধানীর একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, এলএনজেপি-র মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডক্টর সুরেশ কুমার এই প্রসঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানিয়েছেন যে এই হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু তাও ভ্যাকসিন নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে লোক হচ্ছে না। তিনি বলছেন যে যদি সন্ধ্যা ৬টায় একটা ভ্যাকসিনের ভায়াল খোলা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে যে পরের ৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় জোর ২জন ভ্যাকসিন নিতে এলেন! ফলে, বাকি ডোজ নষ্ট হচ্ছে, তা ফেলে দিতে হচ্ছে।
advertisement
5/6
•কী ভাবে এই সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব? পাবলিক হেল্থ এক্সপার্ট দিলীপ মাবালনকার বলছেন যে প্রত্যেক হাসপাতালের ১ রেডিয়াসের মধ্যে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের সবার নম্বর হাসপাতালে দিয়ে রাখা উচিত। যাতে হাসপাতাল থেকে ফোন করে এই সব ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ডেকে নেওয়া যায়। পাশাপাশি তাঁর অভিমত, দেশের যে রাজ্যগুলোয় সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে তুলনামূলক ভাবে বেশি ভ্যাকসিন পাঠালে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
advertisement
6/6
•পরিসংখ্যান বলছে যে এখনও পর্যন্ত তেলঙ্গানায় ১৭.৫ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশে ১১.৭ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে ৯.৪ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে।