করোনা আবহে পুজোয়ে মানতে হবে কী কী নিয়ম? প্যান্ডেল হবে কীভাবে, যা নিয়ম গণেশ চতুর্থীর জন্য...

▪️যে কোনও পুজো মানেই মানুষের মিলন৷ তবে এবার তার চিত্র পাল্টে যাবে অনেকটাই৷ নিউ নরমালে কোপ উৎসবে৷ যা শুরু হতে চলেছে গণেশ পুজোর মাধ্যমে৷ যে কোনও পুজোর মধ্যে দেশে প্রথমে পালিত হয় গণেশ উৎসব বা গণেশ চতুর্থী৷ এই শনিবার অনুষ্ঠিত হবে সেই পুজো৷ তবে তার জন্য বিস্তর নিয়মবিধি তৈরি হয়েছে৷ যা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক৷

▪️মুম্বই-গণেশ পুজোর জন্য পরিচিত মহারাষ্ট্র৷ মুম্বইতে প্রতি বছর ধুমধাম করে হয় এই উৎসব৷ গণপতিকে মনে প্রাণে মানেন এই প্রদেশের মানুষ৷ তবে এবার পরিস্থিতি একেবারে আলাদা৷ ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া শুরু হয়েছে৷ তবে সেখানে জানানো হয়েছে যে, মাত্র ৫ জন গণপতির মূর্তি আনা এবং বিসর্জনে অংশ নিতে পারবেন৷ Collected

▪️মাস্ক, ফেসশিল্ড, হ্যান্ড স্যানেটাইজার থাকতেই এবং সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব মানতেই হবে৷ কোনও বড় জমায়েত বা প্রসেশন করা যাবে না৷ বাড়িতে এমন গণেশ মূর্তি দিয়ে পুজো করার অনুরোধ করা হচ্ছে যার বিসর্জনের প্রয়োজন নেই৷ সেক্ষেত্রে পাথর বা ধাতুর মূর্তিই শ্রেয়৷ নিয়মের হেরফের হলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে৷

▪️পুণে-কোনও মূর্তি বাজার থেকে কেনা যাবে না৷ সব কিনতে হবে অনলাইন৷ এমনই নির্দেশ দিয়েছে পুণের প্রশাসন৷ ঠাকুর আনা ও বিসর্জনের সময় কোনও ভিড় করা যাবে না৷ বেশি শব্দ করে আরতি করা যাবে না৷ আরতির সময় মাত্র ৫জন উপস্থিত থাকার অনুমতি মিলেছে৷ মন্দিরে পুজো হলে কোনও প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না৷ কাছাকাছি কোনও জলাশয় থাকলে, সেখানেই বিসর্জন করতে হবে মূর্তি৷

▪️যারা পুজোর দায়িত্বে থাকবেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক৷ দর্শনের ক্ষেত্রেও অনলাইন ভিডিও দর্শনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে৷ যারা আসবেন তাদের অনলাইন অনুমতি নিতে হবে৷ কোনও জাঁকজমক করা যাবে না৷ এই সবের থেকে রক্তদান শিবিরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷

▪️দিল্লি-বড় জমায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে কোনও উদযাপন করা যাবে না৷ জনবহুল এলাকায় মূর্তি বসানো যাবে না৷ বিসর্জনের যে নিয়ম করা হয়েছে তার অনিয়ম হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে৷

▪️যমুনা নদীর ধারে কোনও প্রসেশন করা যাবে না৷ ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে দিল্লি পুলিশ প্রশাসন৷ ফলে কোনও রকম গুজব ছাড়ানোর ওপরও নজর থাকবে৷

▪️গোয়া-মাত্র দেড় দিনে গণেশ উৎসব পালনের অনুমতি মিলেছে গোয়ায়৷ একসঙ্গে মন্ডপে ১০ জনের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না৷ কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না৷ আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার ওপরও বিশেষ নির্দেশ থাকছে৷ কন্টেইনমেন্ট জোনে পালন করা যাবে না পুজো৷ যারা বাড়িতে পুজো করছেন তাদের বাড়ির শুধুমাত্র ২জন মূর্তি বিসর্জনে যেতে পারবেন৷ বিকেল ৫ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত হবে বিসর্জন৷