আরও পড়ুন: বাড়িতে থেকে উদ্ধার ৫০টি গ্যাস সিলিন্ডার, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা। সাইকেলে ছোট ভাই অয়নকে স্কুলে পৌঁছতে যাচ্ছিল দাদা সায়ন রায় ওরফে বাবু সোনা। হাতিয়ারা অরুণাচলের মার্বেল কারখানা কাম গুদামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ইটের পাঁচিল। পাঁচিলের নীচে চাপা পড়ে যায় দুই ভাই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হিন্দু বিদ্যাপীঠের ছাত্র বারো বছরের সায়নের।
advertisement
আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়ায় অটো উল্টে এক শিশুর মৃত্যু
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্লাস-টুয়ে পড়া অয়নকে আরজিকরে ভরতি করা হয়। অভিযোগ, ভারি পাথরের ভার সহ্য করতে না পেরে বহু পুরোন পাঁচিল ভেঙে পড়েছে।
গুদামের সামনের রাস্তা খারাপ। পাঁচিলও বিপজ্জনক। স্থানীয় প্রশাসন ও কারখানা মালিককে বহুবার বলেও লাভ হয়নি। দাবি স্থানীয়দের। দুর্ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। নিউটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে শুরু হয় বিক্ষোভ। দেহ তুলতে বাধা দেওয়া হয়। গোডাউনের ভিতর শুরু হয় ভাঙচুর। ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিলের বাকি অংশ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গুদামে থাকা দুটি গাড়িতে।
আরও পড়ুন: বাবার ধর্ষণে গর্ভবতী নাবালিকা মেয়ে !
পথ অবরোধও হয় হাতিয়াড়ায়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিধাননগর কমিশনারেট থেকে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানা ও গুদামের নথি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খোঁজ চলছে মালিকের।