স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেবাশীষ বেশ অবস্থাপন্ন কৃষক-ই ছিলেন। তবে, সম্প্রতি মেয়ের বিয়ে হয়েছে এবং ছেলে বাইরে পড়াশোনা করছে। তার মধ্যেই, সমবায় সমিতিতে ঋণ করে ৪ বিঘা আলু চাষ করেছিলেন! কিন্তু, পরপর বৃষ্টিতে তাঁর অন্যান্য ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছিল, ঠিক তেমনই গত দু'দিনের শিলাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে সমস্ত আলুও নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলেই, মানসিক হতাশা ও দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। সেই, দুশ্চিন্তা থেকেই শনিবার ভোর রাতে গলায় দড়ি দেন দেবাশীষ। পরিবারের সদস্যরা তা দেখতে পেয়েই, স্থানীয়দের সহায়তায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এলাকার অন্যান্য আলুচাষীরাও আশঙ্কায় রয়েছেন। এমতাবস্থায় তারা চাইছেন, সরকার এই সময় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে দাঁড়ালে হয়তো অনেক চাষী আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে না।
advertisement