পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী টাঁকশাল অর্থাৎ বি.আর.বি (Bharatiya Reserve Bank)-তে কর্মরত নির্মাল্য মুখার্জি'র মেধাবী সন্তান রোহন মুখার্জি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর নিট উত্তীর্ণ হয়ে ইউক্রেনের ব্ল্যাক সি ন্যাশনাল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Petro Mohyla Black Sea National UniversityUniversity in Mykolaiv, Ukraine) ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে, চতুর্থ বর্ষে (অষ্টম সেমিস্টার) পাঠরত রোহন-কে নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন তাঁর বাবা-মা সহ পরিবার পরিজনেরা! কারণ, যে কৃষ্ণ সাগর (Black Sea) দিয়ে রাশিয়া আক্রমণ চালাচ্ছে, সেই কৃষ্ণ সাগরের তীরেই রোহনের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (Black Sea National Medical University)। তবে, আপাত স্বস্তি ফিরেছে ভারত সরকারের নজিরবিহীন তৎপরতায়! শুক্রবার সকালে রোমানিয়া থেকে তাঁদের সি-১৭ বিমান রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। চরম অসহায়তা আর মৃত্যু আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটানো পশ্চিম মেদিনীপুরের আরেক পড়ুয়াও ওই বিমানেই রোমানিয়া থেকে ফিরছেন বলে জানা গেছে। মেদিনীপুর শহরের আবাস কুইকোটা এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক নবীন কৃষ্ণ দাসের ছেলে সায়ন দাস ফিরছেন ওই সি-১৭ বিমানে করেই। নবীন বাবু শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল স্কুলের শিক্ষক। তাঁর মেধাবী সন্তান কিভ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kyiv Medical University)'র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দুঃশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ফিরছেন সায়ন, রোহন-রা। এজন্য, ভারত সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সাথে সাথেই, সন্তানদের অপেক্ষায় উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন নবীন বাবু, নির্মাল্য বাবুরা।
advertisement