মেদিনীপুরের পর তিনি খড়্গপুরে রামনবমী উদযাপন সমিতির শোভাযাত্রায় অংশ নেন। খড়্গপুরের আখড়াতে অংশ নিয়ে লাঠি খেলায় মেতে উঠেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। গোদা হাতে তুলে শোভাযাত্রায় জয় শ্রী রাম শ্লোগান দিতেও দেখা যায় দিলীপ বাবুকে।
মেদিনীপুর: রাম নবমীতে অস্ত্র মিছিল এবং লাঠি খেলা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে যেখানে বারেবারে দিলীপ ঘোষকে দেখা গেছে অস্ত্র মিছিলে হাঁটতে এবং লাঠিখেলা প্রকাশ্যে আর এই নিয়ে রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দিয়েই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে শাসক দলের বিভিন্ন নেতা নেতৃত্ব। তারপরেও রবিবারের রাম নবমী উদযাপনে খড়্গপুরে গোদা হাতে তুলে এবং আখড়ায় লাঠি খেলায় অংশ নিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যদিও এবারও অস্ত্র মিছিল এবং রাম নবমীতে লাঠি খেলা নিয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকল বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা।এদিন মেদিনীপুরের এক রামনবমী পুজোতে এসে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অসুরদের, রাক্ষসদের বধ করেছিলেন। তিনি ছোট থেকেই অস্ত্র নিয়েই জন্মে ছিলেন, লড়াই করেছিলেন। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরাও সেই শ্রী রামচন্দ্রকে পুজো করি তাই বিনা অস্ত্রে এই রাম পূজা সম্ভব না। যেসব রাক্ষস প্রবৃত্তির লোক এই সমাজে আছে তারা এই অস্ত্র দেখে ভয় পায়। তিনি এর পাশাপাশি বলেন, রামচন্দ্রের পুজো এবং রামের প্রচার যত বাড়বে ততই ভারত তার নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারবে। এখানকার গুন্ডাদের হাতে অস্ত্র শস্ত্র থাকুক, এটা পুলিশ প্রশাসন চাই। তাই এখানে জেলায় জেলায় বোমা বারুদের কারখানা ও অস্ত্রশস্ত্রের কারখানার হদিস পাওয়া যাচ্ছে। রামনবমীর মিছিল থেকে পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করা বেআইনি বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ। এখানকার পুলিশ অত্যাচারীদের সঙ্গ দিচ্ছে তাই এরকম দিন দুপুরে খুনখারাপি বেড়ে চলছে রাজ্যে। মহিলারাও এই আক্রমণের হাত থেকে বাদ যাচ্ছেনা। মেদিনীপুরের পর তিনি খড়্গপুরে রামনবমী উদযাপন সমিতির শোভাযাত্রায় অংশ নেন। খড়্গপুরের আখড়াতে অংশ নিয়ে লাঠি খেলায় মেতে উঠেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। গোদা হাতে তুলে শোভাযাত্রায় জয় শ্রী রাম শ্লোগান দিতেও দেখা যায় দিলীপ বাবুকে।