এককালে যখন মাটির হাঁড়ি , সরা, ঘট এইসবের রমরমা ছিল বাজারে, বর্তমানে সে ব্যবসায় বেশ ভাটা পড়েছে। তবে মন্দার বাজারে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন কুমোররা। বর্তমান চাহিদা বাড়ছে পাখির খাঁচায় ব্যবহার করা ফুটো করা হাঁড়ি। গ্রাহকদের চাহিদা মতো সেই হাঁড়ি বানিয়ে আশার আলো দেখছেন জেলার কুমোররা।প্রসঙ্গত বর্তমান দিনে বাড়িঘর সাজানোর ক্ষেত্রে বহু মানুষ বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পোষেন। তবে পাখি পুষতে গিয়ে খাঁচা সাজানোর জন্য প্রয়োজন হয় মাটির হাঁড়ি, সরা। স্বাভাবিকভাবে খাঁচায় ব্যবহৃত এই সকল মাটির জিনিসের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। গ্রাহকের পছন্দমত বাড়িতেই বানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবে যখন ব্যবসাতে আর্থিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময় এই সকল শৌখিন জিনিস বানিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কুমোররা।
advertisement
প্রসঙ্গত এককালে চাকা ঘুরিয়ে, তার ওপর মাটি রেখে হাতের কায়দায় কুমোররা তৈরি করতেন নানা জিনিস। তার মধ্যে যেমন বিভিন্ন সাইজের হাড়ি, গ্লাস, বাটি-সহ মাটির নানা জিনিস। তবে কালের উন্নতিতে ক্রমশ কমেছে তাদের এই ব্যবসা। পূর্বপুরুষদের সেই ব্যবসা ছেড়ে এখন যুব প্রজন্ম অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। স্বাভাবিকভাবে আর্থিক মন্দা সৃষ্টি হচ্ছে তাঁদের পরিবারে। তবে বর্তমানে এই পাখির খাঁচা সাজানোর জন্য হাঁড়ি, সরা, মাটির পাত্র তৈরি করছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবে, শৌখিন নানা জিনিস বানিয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন কুমোররা। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। মন্দার বাজারেও বিশেষ এই জিনিস বানিয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।