আমরা স্থানীয় ভাবে আমাদের স্কুলের পেছনের একটি মাঠ যাতে স্কুল অধিগ্রহন করতে পারে, সেবিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত সেই মাঠটিকেই স্কুলের খেলাধুলার জন্য মাঝে মধ্যে ব্যবহার করা হয়। তবে কমিউনিটি হল না থাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের জমায়েত হলে সমস্যার সৃষ্টি হ?
পশ্চিম মেদিনীপুর: শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল চারুবালা বালিকা বিদ্যালয় স্কুল প্রাঙ্গণে কোন খেলার মাঠ ও কমিউনিটি হল না থাকায় অসুবিধায় ছাত্রছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারের কাছে আবেদন করে, যেন তাদের একটা খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তাহলে তারা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধূলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবে। একই আবেদন জানিয়েছেন গোদাপিয়াশাল চারুবালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ালী সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, আমাদের স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আমাদের স্কুলের কোন মাঠ না থাকায় অন্য স্কুলের মাঠে করতে হয়। অনেক সময় স্কুল পারমিশন দিতে চাইনা, অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও স্কুলের বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করতে হয়। তাই গোদাপিয়াশাল চারুবালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ালী সেনগুপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়েই সরকারের কাছে আবেদন করেন, যাতে ঐ বিদ্যালয়কে একটি খেলার মাঠ ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। জঙ্গলমহল শালবনীর এই চারুবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমানে মোট ছাত্রী সংখ্যা ১০৮০ জন, শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ২৪ জন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ালী সেনগুপ্ত জানান, আমরা স্থানীয় ভাবে আমাদের স্কুলের পেছনের একটি মাঠ যাতে স্কুল অধিগ্রহন করতে পারে, সেবিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত সেই মাঠটিকেই স্কুলের খেলাধুলার জন্য মাঝে মধ্যে ব্যবহার করা হয়। তবে কমিউনিটি হল না থাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের জমায়েত হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। কারন তাদের আমরা সেরকম পরিসর দিতে পারিনা। আমরাও চাই করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে, কিন্তু জায়গার অভাবে তা হয়ে ওঠে না।