বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুপ কুমার ঘড়া জানান, "২০০৭ সালে একদিন বিকেলে ঐ অনাথ ছেলেটি হঠাৎ এই প্রতিষ্ঠানে এসে ঢুকে পড়ে, সেই সময় এখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ডাঃ শ্যামাপদ পাল। তবে সেই সময় ঐ ছেলেটির বিষয়ে থানাতেও জানানো হয়, কিন্তু হরির খোঁজ খবর কেউ নিতে কেউ আসেনি। তাই সেই থেকে এখানেই থাকে হরি। এরপর এখানে যেহেতু ও সর্বক্ষণ থাকে, এখানের নিরাপত্তারক্ষী এবং অফিস বয়ের কাজকর্ম করাটা হরি বেশ ভালো ভাবেই লক্ষ্য করে এবং তা ভালো ভাবে শিখেও নিয়েছে। এখন নিরাপত্তা রক্ষী ও অফিস বয়ের কাজকর্ম নির্দিষ্ট সময়ে বেশির ভাগ হরি করে দেয়। যদিও ওগুলো হরির করার কথা নয়, কিন্তু কথায় আছে, দায়িত্ববান মানুষদের দায়িত্ব দিতে হয়না, তারা দায়িত্ব নিয়ে নেয়। হরিও অনেকটা সেরকমই, মানসিক প্রতিবন্ধী, বোবা, কালা হওয়া সত্বেও ওর মধ্যে যে দায়িত্বশীল চিন্তাভাবনা রয়েছে, সেটা প্রত্যক্ষ করে আমরাও অবাক হই।"
advertisement