প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত একমাস যাবত সারা রাজ্যের সাথে সাথে, পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলাতেও যেন পরকীয়ার ঝড় উঠেছে! সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বছর ২১'র কলেজে পাঠরতা গৃহবধূ। জানা গেছে, মাত্র পাঁচ মাস আগেই খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর এলাকার এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় অর্চনার। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কাঁয়তা গ্রামে বাপের বাড়ি অর্চনার। ডেবরা কলেজের বি.এ জেনারেল কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অর্চনা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। পুত্রবধূর ইচ্ছে ফেরাতে পারেননি অর্চনার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মিলেছিল কলেজে পড়ার অনুমতি। পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে একপ্রকার সুখেই ঘর করছিলেন অর্চনা। অর্চনার আত্মীয়রা জানান, তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তিও ছিলনা! তবুও, প্রেমে না প্রলোভনে পা দিল একুশবর্ষীয়া অর্চনা? নাকি অপহরণ? যদিও শেষেরটার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে! তবে, অর্চনা কোথায় আছে, কি করছে তা জানার জন্য উৎকণ্ঠিত তাঁর বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এমনকি, রবিবার অর্চনার মামা ফোনে জানালেন, "ও যা চাইবে আমরা তাই মেনে নেব। ওর স্বামীও তাই বলেছে। সে শুধু বলছে, ও যদি অন্য কারুর সাথে ঘর করতে চায়, করুক। তবে, তাকে যেন ডিভোর্সটা দিয়ে যায়! আমরাও চাই, যা বলার আমাদের মুখোমুখি এসে বলুক।" কি করবে অর্চনা? আগামী কয়েকদিনে হয়তো বোঝা যাবে।
advertisement