হাসপাতাল সুপার জানান, বছরে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা ১০/১৫ জন হয়। অনেক সময় রোগী ভর্তি করে ভুল ঠিকানা দিয়ে চলে যায় পরিবারের লোকেরা তখন আমাদের ওই রোগীকে ফেরত পাঠাতে প্রশাসনিক সাহায্য নিতে হয় তবে এই ধরনের সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে
পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্তমান সময়েও বৃদ্ধ বাবা মাকে বোঝা বলে মনে করেন এক শ্রেনীর মানুষ। যা সামাজিক অবক্ষয় বলেই মনে করেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডাক্তার ইন্দ্রনীল সেন। কারণ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায়শই দেখা মেলে অনাথ রোগীর। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কাউকে বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে আর নিতে আসেন না, কখনও মানসিক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে বেপাত্তা হয়ে যায় পরিবারের লোকজন। দিন কয়েক আগে সেরকমই এক মানসিক ভারসম্যহীন রোগীর খোঁজ মেলে ফিমেল মেডিসিন বিভাগে। ঐ মহিলাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, পেটের যন্ত্রণা হওয়ায় তাকে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যায় এবং বলে যায় সে আবার নিতে আসবে এবং হাসপাতালেই থাকতে। ঐ মহিলা ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলে, তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু তারপরেও ১১ দিন ধরে ঐ মহিলা হাসাপতালের ঐ ওয়ার্ডেই রয়েছেন। তবে অসংলগ্ন কথা শুনে মনে হলো মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ মহিলা। হাসপাতাল সুপার জানান, বছরে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা ১০/১৫ জন হয়। অনেক সময় রোগী ভর্তি করে ভুল ঠিকানা দিয়ে চলে যায় পরিবারের লোকেরা তখন আমাদের ওই রোগীকে ফেরত পাঠাতে প্রশাসনিক সাহায্য নিতে হয় তবে এই ধরনের সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।