প্রতিবছর এইসময় এখানে আসেন তারা। উরস উৎসবের আয়োজক কমিটির সদস্য চৌধুরী ইবতেহাজুল হক জানান, গত ২ বছর সমস্ত কোভিড প্রটোকল মেনে এই উরস উৎসব পালন করা হচ্ছে। তবে দু বছর বাংলাদেশ থেকে পুণ্যার্থীরা না আসায় মন খারাপ মেদিনীপুর জেলা সহ ভারতবাসীরও।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ মন খারাপের মধ্য দিয়েই এবছর উদযাপিত হচ্ছে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদের ১২১ তম উরস উৎসব। প্রতি বছরের মত এ বছরও বৃহস্পতিবার মওলা পাক হযরত সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী র ১২১ তম উরস উৎসব পালিত হলো। তবে কোভিড বিধিনিষেধের জেরে গত একশো বছর ধরে আগত বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেনে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী এবারও মেদিনীপুরের পবিত্র মাটি স্পর্শ করতে পারলেন না। এছাড়াও দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ভক্তবৃন্দরা আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। জানা যায়, হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আলকাদেরি আলবাগদাদি (মওলা পাক) সুফি সাধনার প্রসারে এই মহান তাপসের প্রপিতামহ ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের বাগদাদ থেকে ওড়িশার চাঁদবালি বন্দর হয়ে ভারতে আসেন।মওলাপাক এর প্রপৌত্র বড় হুজুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ রশিদ আলী আল কাদেরী আল বাগদাদি পাকের বর্তমান স্থলাভিষিক্ত সাজ্জাদানশীন, মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ ও মাজার পাকের মোতাওয়াল্লী, রাসূলে পাকের ৩৬ তম এবং হুজুর গওস পাকের ২৩ তম বংশধর গওসে যামা হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আলকাদেরী আলবাগদাদী পাকের পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে এই উরস উৎসব পাক উপলক্ষে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণ ও দায়রাপাকে যথাযথভাবে গম্ভীর পরিবেশে ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই উরস উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন। এবং জোড়া মসজিদ অবস্থিত মওলাপাকের সমাধিস্থলে প্রার্থনা করেন। উরসে আসা ভক্তবৃন্দকে জানায়, এখানে প্রার্থনা করে তাদের বিভিন্ন মনস্কামনা পূরণ হয়। তাই প্রতিবছর এইসময় এখানে আসেন তারা। উরস উৎসবের আয়োজক কমিটির সদস্য চৌধুরী ইবতেহাজুল হক জানান, গত ২ বছর সমস্ত কোভিড প্রটোকল মেনে এই উরস উৎসব পালন করা হচ্ছে। তবে দু বছর বাংলাদেশ থেকে পুণ্যার্থীরা না আসায় মন খারাপ মেদিনীপুর জেলারও।