মায়াপুরের ধাঁচে দোল উৎসবের আয়োজন করা হলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। মহিলা পুজো কমিটির উদ্যোগে এই দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবছর প্রথমবার মায়াপুরের আদলে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে পানগড়ে।
পশ্চিম বর্ধমান: মায়াপুরের দোল উৎসব জগদ্বিখ্যাত। সেই মায়াপুরের ধাঁচে দোল উৎসবের আয়োজন করা হলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। মহিলা পুজো কমিটির উদ্যোগে এই দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবছর প্রথমবার মায়াপুরের আদলে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে পানগড়ে।দোল উৎসব উপলক্ষে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন উদ্যোক্তারা। এবছর মহিলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত দোল উৎসবে বেরোবে নগরকীর্তন। সেখানেই আবীর খেলায় মেতে উঠবেন স্থানীয় মানুষজন। পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য প্রসাদ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দোল উৎসব পালনের জন্য মণ্ডপ তৈরি করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো এলাকা। চলছে বিশেষ পুজোপাঠ। দোলের দিন রঙের উৎসবে মেতে উঠতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সকাল থেকেই। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পরই স্থানীয় এলাকায় বেরোবে নগরকীর্তন। সেখানে এলাকার বহু মানুষ যোগদান করবেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। তারপরেই নগরকীর্তনে যোগ দেবেন স্থানীয়রা। এখানে যোগ দেওয়া সকলের জন্য প্রসাদ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রথম বারের জন্য হলেও এলাকার মানুষজন যাতে মায়াপুরের দোল উৎসবের আনন্দ পান, সেই বিষয় মাথায় রেখেই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, মায়াপুরের দোল জগদ্বিখ্যাত হলেও অনেকেই দোল উৎসব দেখতে মায়াপুরে যেতে পারেন নাবিভিন্ন কারণে। কিন্তু তারা যাতে এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে দোল উৎসবের উদ্যোক্তা তথা বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বৈশাখী ব্যানার্জি বলেছেন, এলাকার মানুষকে দোল উৎসবে একটু বিশেষ আনন্দ দিতেই এই ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। বিগত দুবছর ধরে সংক্রমনের জন্য মানুষ ঘর বন্দী ছিলেন। এবছর যাতে মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে পারেন, তার জন্য এই দোল উৎসবের আয়োজন। পাশাপাশি তারা যাতে একটু নতুনত্বের স্বাদ পান, সেজন্যই মায়াপুরের ধাঁচে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছরগুলিতেও একই ভাবে দোল উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।