শুধুমাত্র পশ্চিম বর্ধমান নয়, সুভাষ বাবুর চালানো বৃদ্ধাশ্রমে কলকাতা, হাওড়া, হুগলির বহু আবাসিক রয়েছেন। এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকার জন্য তাঁদের কোন টাকা পয়সা দিতে হয় না। দিতে হয় না খাওয়ার জন্য টাকা-পয়সা। সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে বিনামূল্যে। সাতসকালে খবরের কাগজ থেকে সন্ধ্যাবেলায় টিভির ধারাবাহিক দেখা, সব ব্যবস্থাই আছে এই বৃদ্ধাশ্রমে। এখানের সমস্ত আবাসিকদের সকাল, দুপুর, বিকেল, রাত - চারবার বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়।
advertisement
বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের মধ্যে কেউ ছিলেন ভবঘুরে, কারোর আবার নিজে কাজ করে খাবার ক্ষমতা নেই, দেখার জন্য নেই পরিবার-পরিজন। আবার এমনও অনেকে আছেন, যাদের পরিবারের অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও, তাঁরা একাকী। এই বৃদ্ধাশ্রমে জীবনযাপন করছেন এমন বহু মানুষ। তবে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা বলেছেন, এখানে তারা নিজেদের মতো করে ভাল আছেন। তাদের কোনও অসুবিধা নেই। সকলেই একসঙ্গে মিলেমিশে আছেন।
বৃদ্ধাশ্রমের উদ্যোক্তা সুভাষ মহাজন জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় শুরু হয়েছিল এই বৃদ্ধাশ্রম। এখন তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমটি। যদিও প্রতিষ্ঠানটি চালানোর জন্য সাহায্য পান অনেকের কাছ থেকেই। বিশেষ করে প্রয়োজনের সময় হাত বাড়িয়ে দেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, মুকুল উপাধ্যায় সহ অনেকেই। তবে আশ্রয়হীন, নিঃসঙ্গদের, আশ্রয় এবং সঙ্গ দিয়ে নজির গড়েছেন উদ্যোক্তা সুভাষ মহাজন।
Nayan Ghosh