জানা গিয়েছে, আসানসোলের আপকার গার্ডেনের বেসরকারি ওই ব্য়াঙ্কে লক্ষ লক্ষ টাকার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন গ্রাহকরা। ব্য়াঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্য়াঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের নাম দেবদাস গোপ। জানা গিয়েছে, ওই ব্য়াঙ্ক কর্মীর মারফত এলাকার বহু মানুষ ব্য়াঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন। কিন্তু টাকার বদলে জাল ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল গ্রাহকদের, অভিযোগ এমনটাই। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে গ্রাহকদের। ব্য়াঙ্কে কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলেও, গ্রাহকরা চিন্তায় রয়েছেন আদৌ সেই টাকা ফেরত পাবেন কিনা।
advertisement
আরও পড়ুন: দিল্লি নয়, সাত দিনের জন্য় অনুব্রতর ঠিকানা দুবরাজপুর থানা! তড়িঘড়ি বৈঠকে ইডি
আরও পড়ুন: অনুব্রতর সাত দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আবেদনই করলেন না কেষ্টর আইনজীবীরা
এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রাহকরা। এই ব্যাপারে মহিশীলা কলোনির বাসিন্দা এক গ্রাহক জানান, তার ৮ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল। টাকার দরকার পড়ায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দেবদাস গোপকে বিষয়টি জানালে, তিনি প্রয়োজনীয় নথি ও চেক জমা দিতে বলেন। সেইমতো তিনি নথি এবং চেক জমা দিলেও, চেক বাউন্স হয়।
এরপরই ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটটি আসলে জাল। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হতেই, অন্যান্য গ্রাহকরাও তাদের ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ব্যাঙ্কে নিয়ে যান। কিন্তু তারাও জানতে পারেন, সেগুলি জাল এবং যে টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন, সেই টাকাও উধাও হয়ে গিয়েছে। গ্রাহকদের দাবি, টাকা কাটার বিষয়ে মোবাইলে কোনও ম্যাসেজও আসেনি।
এই ঘটনার পরে ব্য়াঙ্কের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জালিয়াতির শিকার হওয়া গ্রাহকরা। অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্য়াঙ্কের ম্যানেজার একটি এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। অভিযুক্ত ব্য়াঙ্ক ম্যানেজারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে গ্রাহকরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে।
নয়ন ঘোষ






