দুর্গাপুর সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিএমআরআই নাম তুলে ফেলল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার ট্রি তৈরি করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে দুর্গাপুরের এই সংস্থাটি।
দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের মুকুটে যোগ হল নতুন পালক। দুর্গাপুর সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিএমআরআই নাম তুলে ফেলল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার ট্রি তৈরি করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে দুর্গাপুরের এই সংস্থাটি। সম্প্রতি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শংসাপত্র পেয়েছে সিএমআরআই। স্বাভাবিকভাবেই এই সাফল্য উচ্ছ্বসিত করেছে সিএমআরআই এর বিভিন্ন অধ্যাপক, রিসার্চার থেকে শুরু করে দুর্গাপুরের মানুষজনকে। নতুন এই কৃতিত্ব সিএমআরআইকে যেমন উদ্বুদ্ধ করবে আরও নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করতে, তেমনভাবেই তা সংস্থার সঙ্গে জড়িত সবার পক্ষে যথেষ্ট সম্মানজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গিনেস বুক অব রেকর্ডস এর তালিকায় দুর্গাপুরের সংস্থার নাম যুক্ত হওয়ায়, উচ্ছ্বসিত শহরের মানুষজনও। প্রসঙ্গত সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে আরও গতি আনতে এবং সৌর বিদ্যুৎ তৈরির জগতে বিপ্লব আনার লক্ষ্যে, সিএমআরআই এই সোলার প্লান্ট তৈরি করেছে। যা থেকে প্রচুর পরিমাণে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। তবে সিএমআরআই এমনভাবে এই সোলার প্লান্ট এর নকশা তৈরি করেছে, যাতে করে খুব অল্প জায়গার মধ্যে প্রচুর সংখ্যক সোলার প্যানেল বসানো সম্ভব। যে প্যানেল গুলির মাধ্যমে ভালো পরিমাণ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। সিএমআরআই এর তৈরি এই সোলার ট্রি আপাতত পাঞ্জাবের লুধিয়ানার সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর ফার্ম মেশিনারি চত্বরে বসানো হয়েছে। সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, এই সোলার ট্রি এর আয়তন ৩০৯.৮৩ বর্গমিটার। জানা গিয়েছে, এই সোলার ট্রি এর সৌর শক্তি ধারণ ক্ষমতা ৫৩.৬ কিলোওয়াট পিক। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড়শ থেকে দুইশ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই বিদ্যুৎ সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত হবে। এই সোলার ট্রি নির্মাণের জন্যই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস'-এ নাম তুলতে পেরেছে দুর্গাপুরের সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, এতদিন গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বৃহত্তম সোলার ট্রি আয়তনের রেকর্ড ছিল ৬৭ বর্গমিটার। দুর্গাপুরের সিএমইআরআই এর তৈরি সোলার ট্রি যার থেকে বহু গুণ বড়। স্বাভাবিকভাবেই এই সোলার ট্রি বসানোর পর, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে পেরেছে। পাশাপাশি সংস্থার কাছে এসে পৌঁছেছে ওয়াল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের শংসাপত্র।