কলেজ ছাত্রী তারিশি জৈন, শামিব আরা - এরা কেউ ছাত্রী - কেউ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। অপরাধ তারা বিদেশি, কেউ জিনস পরার অপরাধ করেছিলেন। বন্ধুদের
ছেড়ে আসতে না চাওয়ায় এক বাংলাদেশিকেও খুন করে জঙ্গিরা। ইসলামের নামে এই সন্ত্রাসের নিন্দায় সরব হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ বলেন, এরা মুসলমান হতে পারে না ৷
advertisement
নিবরস ইসলাম, রোহন ইমতিয়াজ, খয়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও মির শামেহ মুবাসর ৷ হামলায় দায় নিয়ে হামলাকারী জঙ্গিদের ছবিও প্রকাশ করে ইসলামিক স্টেট। হামলাকারী ৫ জনের অধিকাংশ উচ্চ-শিক্ষিত। বয়স ২৫ এর কোঠায়। নামী পরিবারের সন্তান এই হামলাকারীদের দেখে শিউরে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। তার থেকেও বেশি সম্ভবত তাদের বাবা-মায়েরা।
আইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাশকতার ছক কষেছিল জামাই-ই-মুজাহিদিন বাংলা। হামলার শিকড় খুঁজতে ব্যাপক ধরপাকড়ে গ্রেফতার হয় চক্রীরা। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, সরকারি চাকরিজীবি যেমন আছে, তেমনই গ্রেফতার করা হয় জেএমবির শতাধিক সদস্যকে।
একের পর এক ব্লগার হত্যা, পুরোহিতকে কুপিয়ে খুনের পর গুলশন হামলাই বোধহয় ছিল চরম পরিণতি। তারপরও সন্ত্রাসের থাবা পিছন ছাড়ছে কই?
গুলশন হামলার পরপরই ঈদের জমায়েতে হামলার ছক ভেস্তে দেয় পুলিশ। নতুন বছরে হয়তো অপেক্ষায় আরও বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জীবনের লড়াই।