১) দাদাদের দাপট কমায় ম্রিয়মাণ শাসক, চাঙ্গা বিরোধীরা, পুলিশ নিরপেক্ষ হতেই দিদির মুখে ভূতের নাম
সোমবার সুনাম কুড়িয়েছে পুলিশ। শনিবার সেই সুনাম ধরে রাখার পরীক্ষা।
এ রাজ্যে গত পাঁচ দশকের মধ্যে সোমবারই প্রথম প্রায় সর্বত্র ভূতেদের ভাগিয়ে মানুষ নিজেদের ভোট নিজেরা দিয়েছেন। তার কৃতিত্ব যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর, তেমনই রাজ্য পুলিশের। শাসক দলের ফরমান ছুড়ে ফেলে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে তারা।
advertisement
রবিবার, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার ৪৯টি আসনে ভোটগ্রহণের আগের দিন, রাত থেকেই অধিকাংশ দাদাকে এলাকাছাড়া করে দিয়েছিল পুলিশ। ভোটের দিন দেখা মেলেনি ‘বাবা’-রও (বাইক বাহিনী)। ফলে বুথে বুথে ভূতের উপদ্রব ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন নির্বিঘ্নে। আর দিনের শেষে এত দিনের আত্মগ্লানি ঘোচাতে পারার তৃপ্তি ফুটে উঠেছে পুলিশের গলায়। দক্ষিণ কলকাতার এক থানার সাব-ইনস্পেক্টরের কথায়, ‘‘এই সে দিনও রুলিং পার্টির হেঁজিপেঁজি নেতারা আমাদের চমকে গিয়েছে! গায়ে হাত তুললেও কিছু করা যেত না। কিন্তু ২১ তারিখে আমাদের এক বড় সাহেব এক জনের কলার পাকড়েছেন। আর এক সাহেব লাঠি মেরে লোক তাড়িয়েছেন। দেখে ভরসা পাচ্ছি।’’
২)দুষ্টুগুলো আবার আসবে না তো!
বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশের জিপ, তিন জন বন্দুকধারী পুলিশকর্মী। কিন্তু এঁরা যে বেশি দিন থাকবেন না, তা বিলক্ষণ জানেন দেবশ্রী ঘোষ। হালিশহরের বারেন্দ্রগলির বাড়িতে বসে মঙ্গলবার বললেন, ‘‘পুলিশের ভরসায় আর কদ্দিন থাকা যাবে। আমাদের নিজেদের মনের জোর বাড়াতেই হবে।’’
সোমবার রাজ্যের পঞ্চম দফা ভোটের দিন প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন দেবশ্রী ও তাঁর তিন বছরের মেয়ে সায়ন্তিকা। বাড়িতে ঢুকে দেবশ্রীকে বাঁশ পেটা করেছিল দুষ্কৃতীরা। মারধর করে তাঁর বাবাকেও। এমনকী, সায়ন্তিকার হাতেও বাঁশের বাড়ি মারে দুষ্কৃতীরা। হাত মুচড়ে দেয়। তার পরেও মেয়েকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন দেবশ্রী আর তাঁর বাবা টিটু সমাজপতি। প্রথমটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও দেবশ্রীদের দেখাদেখি পাড়ার আরও মানুষ বেরিয়ে পড়েন ভোট দিতে। নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি, পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী ছিল বটে, কিন্তু কোলের শিশুকে নিয়ে দেবশ্রীর ভোট দিতে যাওয়াই চোখ খুলে দেয় বাকিদের। পাড়ার লোক এককাট্টা হয়ে বলেন, ‘‘যা-ই ঘটুক না কেন, ভোট আমরা দেবই।’’
৩)দুই অশ্বিনের কাজটা সহজ করে দিতে পারে দিন্দা
অঙ্কিত শর্মার বদলে একজন পেসার রাখতে গিয়ে ইশান্ত শর্মা, ইরফান পাঠান, আরপি সিংহকে না রেখে অশোক দিন্দা কেন?
মঙ্গলবার হায়দরাবাদে ওকে বল করতে দেখে এই প্রশ্নটাই প্রথমে মনে এসেছিল। কিন্তু প্রথম ওভারেই বাংলার পেসারের বোলিং দেখে বুঝে গেলাম কেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। বুঝলাম, জহুরির চোখ চিনে নিয়েছে ওকে। নিশ্চয়ই দিন্দাকে নেটে এ রকমই বল করতে দেখেছিল ধোনি। সে জন্যই ওকে এই ম্যাচে সুযোগ দিল। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিন্দাকে প্রথম এগারোয় নিয়ে আসাটা এমএস ধোনির একটা ফাটকা হতে পারে। এ রকম ফাটকা ধোনি আগে অনেকবার খেলেছে। এখন ওর সময়টা ভাল যাচ্ছে না। তবু খেলল। আর সেটাই ওকে সাফল্য এনে দিল।
৪) মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, প্লিজ আমার স্ত্রীকে খুঁজে দিন
এ যেন আরও এক রিজয়ানুর-প্রিয়ঙ্কার কাহিনি। শুধু পশ্চিমবঙ্গের বদলে পটভূমিটা হায়দরাবাদ। মাস দু’য়েক আগে বিয়ে হয়েছিল ওঁদের। ২৮ বছরের বিনয় বাবু আর ২৩ বছরের মমতার। কিন্তু বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই নিখোঁজ মমতা। গত এক মাস পাগলের মতো হন্যে হয়ে স্ত্রীকে খুঁজেছেন বিনয়। অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশের কাছেও। কোনও লাভ হয়নি। কোনও খোঁজই পাওয়া যায়নি মমতার। স্ত্রীকে ফিরে পেতে নিরুপায় হয়ে এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বসুন্ধরা রাজের শরণাপন্ন হলেন পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী বিনয়।
২০১৩ সালে হায়দরাবাদে রাজস্থানের মমতার সঙ্গে আলাপ হয়ে তেলেঙ্গানার বি বিনয়ের। সেই আলাপ থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। বিনয়-মমতা ভিন্ন সম্প্রদায়ের। প্রথম থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে এসেছেন মমতার বাড়ির লোকজন। বাড়ির আপত্তি কানে তোলেননি মমতা। বাড়ির অমতেই বিয়ে করে ছিলেন বিনয়কে।
১) জোটের নামে বাংলার সর্বনাশ হতে দেব না
কলকাতা: সোমবার রাতে যাদবপুরের বিজয়গড়ে যুব সংঘের মাঠের সভা যখন শেষ হল, ঘড়ির কাঁটা তখন ৮টা ছুঁই ছুঁই। মঞ্চ থেকে তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কালঘাম অবস্থা নিরাপত্তা রক্ষীদের। তাঁর নামে জয়ধ্বনির সমুদ্র গর্জন। উচ্ছ্বাস-আবেগের জেরে চিঁড়েচ্যাপটা অবস্থা। কোনওক্রমে গাড়ির সামনের আসনে উঠলেন তিনি। ঘেমেনেয়ে একাকার। যুব সংঘের মাঠ থেকে এবার গন্তব্য কালীঘাটের বাড়ি। বাঘাযতীন রোডের দু’পাশে কাতারে কাতারে কালো মাথার ভিড়।
২) রাজ্যে ফের পরিবর্তন আনতে জোটকেই ভোট দিন: সোনিয়া
শ্রীরামপুর, বিএনএ: শ্রীরামপুরে ভোটপ্রচারে এসে মঙ্গলবার সরাসরি বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দেওয়ার ডাক দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ভরসা করেছিলাম। আশা করেছিলাম, তৃণমূল গরিব মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে রাজ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তাই ২০১১ সালের নির্বাচনে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে সঙ্গ দিয়েছিলাম।
৩) ভোট দেখে খুশি বিশিষ্টজনরা, কমিশন ও বাহিনীর তারিফ মুখে মুখে
বারাসত ও বারাকপুর, বিএনএ: বুথের সামনে বহিরাগতদের দাপাদাপি উধাও। শাসকের রক্তচক্ষুও দেখতে হয়নি সাধারণ ভোটারদের। বোমা, গুলির শব্দ এবং বারুদের গন্ধ ছাড়াই সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৩৩টি বিধানসভায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। একদিকে, নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আঁটসাঁট নিরাপত্তা। জেলার সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজন। সকলেই সালাম জানিয়েছেন কমিশনকে। তাঁরাও বলছেন, প্রতিটি ভোটার শান্তিতে বুথে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন তার জন্য এই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রয়োজন।
৪)গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত দাউদের দু’পা ই কি কেটে বাদ দিতে হবে, জল্পনা
মুম্বই, ২৬ এপ্রিল: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকার প্রথম সারিতে থাকা দাউদ ইব্রাহিমের কি জীবন সংশয় দেখা দিয়েছে? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের দু’পায়েই গ্যাংগ্রিন হয়েছে। ডনকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা সম্ভবত তার দু’টি পা কেটে বাদ দিয়ে দেবেন। তবে পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে দাউদের মৃত্যুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও দাউদের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছোটা শাকিল জানিয়েছে, ডন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরকে ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে শাকিল।
