২৯৪ টি আসনে আমিই প্রার্থী ৷ এই মন্ত্র দিয়ে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো । বাংলা জয় করে নবান্নের পথে সেই অশ্বমেধ। মানুষের সমর্থনের বিপুল ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বাম ও কংগ্রেস জোট। উন্নয়নের জোয়ারে দক্ষিণের মতো উত্তরেও ফুটল ঘাসফুল। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায়। আগামী পাঁচ বছর তিনিই বঙ্গের অধীশ্বর।
advertisement
বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছে ২১১টি আসনে। কংগ্রেস জিতেছে ৪৪ টি আসনে। ৩৪ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকা বামেরা নয়া বিধানসভায় তৃতীয় শক্তি। জোট গড়েও তারা জয় পেয়েছে মাত্র ৩১ কেন্দ্রে। শক্তি বেড়েছে বিজেপির। গেরুয়া শিবির জয়ী হয়েছে ৩ টি আসনে।
এত বড় জয়ের আশা হয়তো করেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও। বাম ও কংগ্রেস জোট বাধায় জটিল হয়েছিল পাটিগণিত। বিজেপির ভোট কার দিকে ফিরবে, এই প্রশ্নটাও চিন্তায় রেখেছিল কালীঘাটকে। শেষে জুড়েছিল নারদকাণ্ড ও উড়ালপুল বিপর্যয়। কিন্তু, সব ফ্যাক্টরকে ধুলিসাৎ করে একা লড়ে তৃণমূলকে জেতালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজেকে ২৯৪ টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে মাস্টারস্ট্রোক খেলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার স্বাভাবিক ক্ষোভ মমতার নিষ্কলুষ ভাবমূর্তির কাছে হেরে গিয়েছে। তাই নারদকাণ্ডের মতো দুর্নীতিও লড়াকু এক জননেত্রীকে ঘিরে তৈরি হওয়া আবেগের সুনামিতে উড়ে গেল। তবু একঝাঁক মন্ত্রীর হার, একাধিক জেলায় কিছুটা খারাপ ফলে হয়তো জনতার সতর্কবার্তাও রয়েছে। কিন্তু, আগামী পাঁচ বছর মমতাতেই আস্থা বাংলার জনতার। মমতার হাতেই বাংলার উন্নয়নের ভার।
