বারবার শহরের বিভিন্ন হাই সিকিউরিটি জোনকে টার্গেট করে উড়ো ফোন। হুমকি, বোমা বিস্ফোরণের। পুলিশের দাবি, সম্প্রতি এই উড়ো ফোনের পরিমাণ, হার মানিয়েছে গত দশ বছরের পরিসংখ্যানকে।
মঙ্গলবার লালবাজার কন্ট্রোলরুমে ফোন করে বিমানবন্দরে মানববোমা বিস্ফোরণের হুমকি ৷ ফোনের সূত্র ধরে বুধবার ডানকুনি থেকে অরুণাভ সিনহা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
advertisement
এরপর শুক্রবার এ নিয়ে চতুর্থ বার ফোন আসে রাজ্যের প্রধান সচিবালয়ে। ফের বোমা বিস্ফোরণের হুমকি। কলার আইডি ট্রেস করে হাওড়ার জয়পুরের বাসিন্দা সুমন্ত ভৌমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ
মুখ্যমন্ত্রীকে কবিতা না শোনাতে পারার ক্ষোভ। নবান্নে নাশকতার ভুয়ো সতর্কবার্তা দিয়ে গ্রেফতার হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা বেবি ঘোষ ৷ প্রশ্ন উঠছে, ধরা পড়বে জেনেও কেন এই ফোন? পুলিশ সূত্রে খবর, বেশিরভাগ ধৃত কলারই মানসিক অবসাদগ্রস্ত ৷ উড়োফোনে মানুষ মারার আতঙ্ক তৈরি করে খুশি হন তাঁরা ৷ কখনও আবার বন্ধুদের সঙ্গে বাজি লড়ে হুমকি ফোন ৷ নিরাপত্তার ফাঁক খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের পরীক্ষা নেওয়ার প্রবণতা ৷
বারবার এধরনের ঘটনায় বিপুল খরচও হয় পুলিশের। নবান্ন বা বিমানবন্দরের মতো জনবহুল জায়গা পুরো খালি করে তল্লাশি চালাতে প্রায় লক্ষ টাকা খরচ হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনওবারই অঘটন ঘটেনি। তবুও হুমকি ফোনের জেরে উদ্বিগ্ন পুলিশ।