দুর্গাপুরের জোড়া খুন রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল রাজ্যে। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ জানা যায়, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দুর্গাপুর মামড়াবাজার শাখার ম্যানেজার সমরেশ মজুমদারের সঙ্গে ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক সুচেতা চক্রবর্তীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ৷ বনিবনা না হওয়ায় স্বামী ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন সুচেতা ৷ অন্যদিকে অবশ্য ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সমরেশের সঙ্গে স্ত্রী ও দুই সন্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল ৷ সমরেশকে একসময় বিয়ের করার জন্য চাপ দিতে থাকেন সুচেতা ৷ সমস্যার সুত্রপাত সেখান থেকেই ৷ সমরেশের ব্যাঙ্কে সুচেতার একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট ও ৪০ ভরি সোনার গয়না রাখা ছিল ৷ সম্পর্কের চাপ আর আর্থিক কারণে সুচেতা ও তাঁর মেয়ে দীপাঞ্জনা খুনের ছক কষেছিলেন সমরেশ ৷ দুর্গাপুরে সুচেতার বাড়িতে ঠান্ডা মাথায় খুন করে টুকরো টুকরো দেহ ব্যাগ বন্দি করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় ৷ সন্দেহের তির সুচেতার স্বামীর দিকে ঘোরাতে, দেহ ফেলতে সুদূর ব্যারাকপুরের গঙ্গা বেছে নিয়েছিল সমরেশ সরকার ৷
advertisement
প্রথমে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিপথে চালিত করলেও পরে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। দেহ লোপাটের জন্য সমরেশ গাড়ি ভাড়া করেছিল। সেই গাড়ির চালকের আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল ৮৮ দিনের মাথায় সমরেশের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। সমরেশকে সাসপেন্ড করে দেয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এখন শ্রীরামপুর জেলে রয়েছে সমরেশ।
-