২০০৮ সালে মিলেছিল আরও এক সোনার খনির খোঁজ। পাহাড়ের খাঁজে আটকে থাকা পাথর থেকে তেল উৎপাদন শুরু হতে লেগেছিল আরও ২ বছর। ২০১৫ সালে সেই শেল অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৪৫ লক্ষ ব্যারেল। ২০১৬ এর মার্চে তা দাঁড়াবে ৬৫ লক্ষ ব্যারেলে।প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিতে পার্বত্য এলাকায় মেলে শেল অয়েল।পাহাড়ের খাঁজে থাকা পাথরে লেগে থাকা জীবাশ্ম থেকে শেল অয়েল উৎপাদন করা হয়।১ টন পাথর পেষাই করে ২৫০ ব্যারেল তেল শেল অয়েল উৎপাদন সম্ভব।
advertisement
গত ২৪ মাসে ব্যারেলে গড়ে ৬৫ ডলার দাম কমেছে তেলের দাম। দাম কমানোর লড়াইয়ে নাজেহাল সৌদি আরব সহ ওপেক ভুক্ত দেশগুলি। শেল ওয়েলের দামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দাম কমানো ছাড়া অন্য উপায়ই বা কী?
৮টি মার্কিন সংস্থা শেল অয়েল উৎপাদনের কাজ চালাচ্ছে।গত তিন বছরে উৎপাদন ১২ গুণ বেড়েছে।২০১৭ সালের মধ্যে দিনে ১.৫০ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের তেলের চাহিদার ৬০ শতাংশ জোগান দিতে পারে ‘শেল ওয়েল’।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেল বিক্রি শুরু করবে ইরান। এজন্য ভারত সহ ২৩টি দেশকে কম দামে তেল বেচারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা। নাইজেরিয়া থেকে তেল আমদানিও বন্ধ করছে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশ। এতে দাম আরও কমার সম্ভাবনা। পরিস্থিতি থেকে ফয়দা তুলতে সেই চেনা পথেই হাঁটছে শেল অয়েল সংস্থাগুলো।
১ ব্যারেল শেল অয়েল উৎপাদনের খরচ এখনও ৪৩ থেকে ৪৫ ডলার।প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে মার্কিন মুলুকে ৩০ ডলারে তা বেচছে তেল সংস্থাগুলো।খনিজ তেলের চাহিদা আরও কমলে দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকবে শেল অয়েল সংস্থাগুলোর সামনে।
উপদেষ্টা সংস্থা জন অ্যান্ড সুলেভ্যানের রিপোর্টে দাবি, ২০২০ সালের মধ্যে আরও এক ডজন দেশে শুরু হবে শেল অয়েল উৎপাদনের কাজ। সেক্ষেত্রে আগামী ৫ বছরে খনিজ তেল উৎপাদন ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনা সত্যি হলে নজিরবিহীন আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়বে তেলের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলো। এই তালিকায় ওপেকভুক্ত দেশগুলি যেমন আছে, তেমনই রয়েছে অন্য নাইজেরিয়া, রাশিয়ার মতো দেশও। তেল অর্থনীতি অনেক কিছুই বদলে দিতে চলেছে। সেই আভাসই দিয়ে গেল ২০১৫।