TRENDING:

মিশরের আকাশে নাশকতা রুশ বিমানে

Last Updated:

ছমিশরের আকাশে রাশিয়ার বিমানে নাশকতা। ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে মিশরের মধ্য সিনাইয়ে ভেঙে পড়ল রুশ যাত্রীবাহী বিমান।রুশ যাত্রীবাহী বিমানটি মিশরের শার্ম-এল-শেখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। বিমানবন্দর থেকে কিছুক্ষণ ওড়ার পরই সিনহাই উপদ্বীপের ওপর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কায়রো: ছমিশরের আকাশে রাশিয়ার বিমানে নাশকতা। ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে মিশরের মধ্য সিনাইয়ে ভেঙে পড়ল রুশ যাত্রীবাহী বিমান।রুশ যাত্রীবাহী বিমানটি মিশরের শার্ম-এল-শেখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। বিমানবন্দর থেকে কিছুক্ষণ ওড়ার পরই সিনহাই উপদ্বীপের ওপর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানের। মাঝ আকাশে রাডার থেকে হারিয়ে যায় বিমানটি। ভেঙে পড়ে এয়ারবাস এ-৩২১। দুর্ঘটনা না নাশকতা? সময় যত এগিয়েছে ততই গভীর হয়েছিল রহস্য। তদন্তে নামানো হয় জার্মানির বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ফ্লাইট রাডার ২৪কে। ঘটনার প্রকৃতি বা তদন্তের ধরণ - সবকিছুতেই রীতিমতো অভূতপূর্ব এই বিমান রহস্য। শেষ পর্যন্ত পুতিনের হাতে তৈরি সংস্থার হাতযশেই খুলল রহস্যের জাল। বিমান নাশকতায় স্পষ্ট হল আইএস যোগ।
advertisement

সিনাইয়ের কোগালিমাভিয়াতে ভেঙে পড়া জেটে যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ২২৪ জন ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় কারোরই বেঁচে থাকার কথা ছিল না। হয়ওনি। ঘটনারই পরপরই এর দায় নিয়েছিল আইএসপন্থী জঙ্গি সংগঠন। তবে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কৌশলগত কারণেই দুর্ঘটনার তত্ত্বে অটল ছিল পুতিন প্রশাসন। রাশিয়ার ভাবমূর্তির স্বার্থেই একে সন্ত্রাসবাদী হানার তকমা দিতে চাননি পুতিন। নজিরবিহীনভাবে তদন্তে জার্মানির বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থারও সাহায্য নেয় রাশিয়া। রুশ তদন্ত সংস্থা পিকেসি ও জার্মান ফ্লাইট রাডার ২৪’ র তদন্তে উঠে আসে বিমান নাশকতার এক রোমহর্ষক ষড়যন্ত্রের কথা। প্যারিস হামলার পরদিনই তিনজনকে গ্রেফতার করে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা।

advertisement

বিমানের মধ্যে দুটি শক্তিশালী বোমা রেখেছিল আইএস জঙ্গিরা।একটি বোমা রাখা হয় বিমানের শৌচাগারে অন্য বোমাটি রাখা হয় বিমানের পিছনে রাখা ডায়াসে।শার্ম-অল-শেখ বিমানবন্দরের দুই কর্মীই বিমানে বোমা রাখেন।বিমানে সন্দেহজনক বস্তু আছে, এমন খবর পেয়েও তা উপেক্ষা করেন সিকিউরিটি অফিসার। আরও দুটি রুশ বিমানে একইভাবে বিস্ফোরণের ছক কষেছিলেন ওই দুই কর্মী।

সিনাই নাশকতায় ৩৩০ কোটি টাকার রেকর্ড পুরস্কার অর্থ ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। বিশ্ব জুড়ে বিমানের গতিবিধির উপর নজর রাখা ‘ফ্লাইট রাডার ২৪’ এর তদন্তে ধরা পড়ে বিমানের ভিতর সার্কিট প্লাগ দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।প্রথম বিস্ফোরণে বিমানের ভিতরে আগুন লেগে যায় তখনই রিমোট কন্ট্রোলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

advertisement

সিনাই নাশকতার পর বিমান নিরাপত্তা নীতিতে বদল আনার দাবিতে সরব হয় সব দেশ। সেই কাজ শুরু হয়েছে। খুব সম্ভবত ২০১৬ এর এপ্রিলেই বিশ্বের ১৭৯টি দেশে নতুন নিরাপত্তা নীতি মেনে শুরু হবে বিমান চলাচল।

বাংলা খবর/ খবর/Uncategorized/
মিশরের আকাশে নাশকতা রুশ বিমানে