দুর্গাপুর ঢোকার মুখে দার্জিলিং মোড়ে ২০০৯ সালে ৮.১২ কিলোমিটার বাইপাস বানানোর অনুমোদন মেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ৷ কিন্তু সেই অনুমোদন মিললেও, কাজ শুরু করা যায়নি পানাগড়ের হাইওয়ে সম্প্রসারণ ৷ মূলত রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়ার বার বার বিরোধিতা এই সংকটকে জিইয়ে রেখেছিল ৷
advertisement
কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার পথে যাত্রীরা হামেশাই পানাগড় বাজারের মুখে দীর্ঘ জ্যামের মুখে পড়ে ৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা থমকে থাকে গাড়ি ৷ এই পানাগড় হাইওয়ে দিল্লি ও কলকাতার আমদানি-রপ্তানির এক গুরুত্বপূর্ণ করিডর ৷
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৩ হেক্টর জমি এনএইচ অ্যাক্টেই নেওয়া হয় ৷ গোটা হাইওয়ে তৈরির জন্য ২০৮৩.৬৫ কোটি টাকার অনুমোদন মেলে ৷ পানাগড় হাইওয়ে তৈরির জন্য পানাগড়, কাঁকসা গ্রাম থেকে শুরু হয় জমি বাঁচানোর লড়াই ৷ ২০১২ সালে রীতিমতো জমি নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ে পানাগড়বাসী ৷ সেই সময় কোটা, পোন্ডালি ও সোয়াই কৃষিজমি অধিকার রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে কৃষ্ণ দয়াল কর্মকার জানিয়েছিলেন, ‘ পানাগড়ের মানুষ জমি দেওয়ার বদলে ক্ষতিপূরণের পরিমাপের কথা জানতে চেয়েছিল ৷ এমনকী, পানাগড়ে যে ফার্টিলাইজার ইন্ডাস্ট্রি গড়ার কথা ওঠে, সেখানে চাকরীর সম্ভাবনার সম্পর্কেও কোনও সম্যক ধারণা ছিল না ৷ সেই কারণেই প্রতিবাদ !’
তবে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে ৷ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে কাজ ৷ হাইওয়ের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়াররা মনে করছেন ২০১৭-এর শুরুতেই শেষ হবে হাইওয়ের কাজ ৷ পানাগড় হাইওয়ে সাহায্য করবে নতুন শিল্প গড়ে ওঠার ৷ এই হাইওয়ে সাহায্য করবে পানাগড় থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জঙ্গল ঘেরা‘দেউল’গ্রামে তৈরি হবে পর্যটন ৷ জ্যাম সমস্যার সমাধান হয়ে বীরভূম, শান্তিনিকেতনে যাওয়া হবে সহজ ৷
এমনিতেই ধুঁকছে দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল ৷ বন্ধ হয়ে যাওয়া সিঙুর থেকে রুগ্ন বর্ধমান শিল্পাঞ্চল ৷ ন্যাশনাল হাইওয়ের এই দীর্ঘ এই যাত্রাপথে একমাত্র আশার আলো পানাগড়ের জমি জট কাটিয়ে পানাগড় মোড়ে হাইওয়ে সম্প্রসারণের ঘটনা ৷ বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের ভোটে ১১ এপ্রিল এক নতুন ইস্যু পাচ্ছে সেখানকার মানুষ ৷
