None Of The Above বা নোটা। ২০১৩ সালে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে নোটার ব্যবহারের কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। ভোটারদের কোনও দলের প্রার্থীকেই পছন্দ না হলে ভোট দিতে পারবেন নোটায়।
২০১৪-এ প্রথম নোটার ব্যবহার শুরু। প্রথমবারই সাফল্য। তবে কোনও দলের জয়-পরাজয়ে সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি। খুব একটা প্রভাব পড়েনি এ রাজ্যেও। এবারের ছবিটা ব্যতিক্রম। বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনে রীতিমত নির্ণায়কের ভূমিকা নিয়েছে নোটা। নোটার খাতায় ৪০০০ থেকে ৫০০০ ভোট পড়লেও, অনেক আসনে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ১০০০ -রও কম। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর কিছুটা অংশ যদি পরাজিত দলের পক্ষে চলে আসত, তবে রেজাল্টের হেরফের হত-ই। তবে পূর্ব মেদিনীপুরে অবশ্য সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি নোটা।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুরে নোটার পরিমাণ প্রায় ত্রিশ হাজার চারশোর কাছাকাছি। জেলার ষোলটি আসনে মোট নোটার পরিমাণ-
নন্দীগ্রাম --১২৭৬
তমলুক---২৩৯৪
ময়না---১১৭৬
খেজুরি---২৬২৩
ভগবানপুর---১১৩৮
পটাশপুর---১১০৭
এগরা--২৯৯৮
পূর্ব পাঁশকুড়া---১৮৫৬
দক্ষিণ কাঁথি---২৩০০
হলদিয়া ---২৩৬৯
মহিষাদল--২০২৩
নন্দকুমার----২০৯৬
পশ্চিম পাঁশকুড়া----২১১৮
চন্ডীপুর----১৪১০
উত্তর কাঁথি---১৭৪৯
রামনগর---১৬৯১
পূর্ব মেদিনীপুরের মোট ১৬টি কেন্দ্রে মোট নোটার পরিমাণ ৩০ হাজার ৩২৪ ৷ তমলুক ছাড়া বাকি ১৫টি আসনে নোটা তেমন প্রভাব ফেলেনি। সব আসনেই জয়ের ব্যবধান নোটার চেয়ে বেশি। ব্যতিক্রম শুধু তমলুক। ৯৫৪৩২ ভোট পেয়ে তমলুকে জয়ী হয়েছেন প্রার্থী সিপিএমের অশোককুমার দিন্দা ৷ অন্যদিকে, পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী নির্বেদ রায়ের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৯৪৯১২ ৷ ওই কেন্দ্রে নোটা পড়েছে ২৩৯৪ টি, যেখানে জয়ের ব্যবধান মাত্র ৫২০ ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নোটায় পড়া ভোট গুলিই ফারাক গড়ে দিয়েছে জয়ের ক্ষেত্রে ৷ অর্থাৎ ওই ভোটগুলি তৃণমূল প্রার্থী নির্বেদ রায়ের পক্ষে গেলে ফলাফল অন্যরকম হত ৷
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নোটা প্রতীক না থাকলে, ভোটাররা পরাজিত প্রার্থীদের ভোট দিতেন এরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই । এমনকি, জয়ী প্রার্থীদের ভোট দিতেন কিনা সন্দেহ। হয়ত তাঁরা ভোটই দিতে যেতেন না।