মঙ্গলবার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁদের সামনেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস। জাভেন্তাম বিমানবন্দরে জঙ্গীদের এলোপাথাড়ি গুলির পর জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। চোখের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে দেখেছেন অনেককে। তারপর শুধুই আতঙ্কের প্রহর গোনা। বিমানবন্দর বন্ধ। বাইরে বেরনোর উপায় নেই। ক্যাম্পের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বাড়ি ফিরতে পারার চিন্তা। বৃহস্পতিবার জেট এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে ব্রাসেলস থেকে আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীদের আমস্টারডাম নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে বিমানে করে দিল্লিতে। শুক্রবার ভোর পাঁচটা দশ মিনিটে আমস্টারডাম থেকে দুশো চোদ্দজন যাত্রীকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামে জেটের ১২২৯ নম্বর ফ্লাইট। যাত্রীদের মধ্যে দিল্লির সত্তরজন যাত্রী ছাড়াও ছিলেন আঠাশজন বিমানকর্মীও। যাত্রীদর চোখে মুখে এখনও আতংক। তবে দেশে ফিরে খুশি সকলেই। অনেকেই ব্রাসেলসে ভারতীয় দূতাবাস, জেট এয়ারওয়েজের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন। আর প্রিয়জনকে ফিরে পেয়ে উদ্বেঘ শেষে আপ্লুত আত্মীয়পরিজন। ব্রাসেলস বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলায় জেট এয়ারওযেজের দুজন বিমানকর্মী আহত হন। এখনও তাঁরা ব্রাসেলসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিল্লি থেকে মুম্বই গেছে বিমানটি। প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পেরে অবশেষে স্বস্তি। তবুও মঙ্গলবারের ভয়াবহ স্মৃতি হয়ত বয়ে বেড়াতে হবে আজীবন।
advertisement