উত্তরবঙ্গে যে জেলায় কংগ্রেসের সংগঠন সবচেয়ে দুর্বল, সেটি দক্ষিণ দিনাজপুর। এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ বা মুর্শিদাবাদের মতো কোন বড় লাভ নেই বামেদের। বালুরঘাট ও কুশমণ্ডিতে কিছু ভোটে জোট এগিয়ে থাকলেও বাকি চার আসনে অনেকটা পিছিয়ে জোট।
লোকসভা নির্বাচন ২০১৪-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃণমূল ও জোটের ব্যবধান দেখে নেওয়া যাক এক নজরে,
advertisement
কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোট কত ভোটে এগিয়ে
কুশমন্ডি ৬০১৪৪ ৬২৮২৮ ২৬৮৪ জোট
কুমারগঞ্জ ৫৮৫০২ ৪৯৪৬১ ৯০৪১ তৃণমূল
বালুরঘাট ৪০২৬৬ ৪৭৯৭৪ ৭৭০৮ জোট
তপন ৫৪৮৮৮ ৪৭৬৭৪ ৭২১৪ তৃণমূল
গঙ্গারামপুর ৬৫৪৮৭ ৫৫১৫৬ ১০৩৩১ তৃণমূল
হরিরামপুর ৬০৬৩১ ৫৭৩৭৯ ৩২৫২ তৃণমূল
তপন, গঙ্গারামপুর আর হরিরামপুর এই তিনটি কেন্দ্র নিয়ে জট বেধেছিল জোটে। শেষমেশ বাম ও কংগ্রেস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সব আসনে একের বিরুদ্ধে একের লড়াই হচ্ছে। উন্নয়নকে প্রচারে তুলে আনছে তৃণমূল। কিন্তু, হরিরামপুর ও গঙ্গারামপুর আসনে তৃণমূলের সাংগঠনিক সমস্যা চিন্তায় রেখেছে নেতৃত্বকে।এমনকি অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও দানা বাঁধছে। একটি স্লোগানে। ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল, আমরা সবাই তৃণমূল, ভোট পাবে রফিকুল। আঙুল উঠছে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা শুভাশিস ওরফে সোনা পালের দিকে।
তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ডার্ক-হর্স অবশ্যই বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে কুশমন্ডি ছাড়া সব আসনেই ২০শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কুশমন্ডিতে বিজেপি ১৬.৬৩%-এর সমর্থন কুড়িয়েছিল। গড়ে ২২.৬২%। অথচ ২০১১র নির্বাচনে বিজেপির ভোট ছিল গোটা জেলায় ৪.১৯%। এই জেলার ভোট নির্ভর করছে প্রায় পাঁচগুণ বাড়া বিজেপির ভোট কোন ইভিএম-এ জমা হয় তার ওপর।
রিপোর্ট-অরূপ দত্ত