TRENDING:

আর্থিক অনিশ্চয়তায় বিপন্ন গ্রিস

Last Updated:

তিন পয়সার পালা।2015-র শুরুতে গ্রিস সঙ্কট নামে যে পালার রুদ্ধশ্বাস ক্লাইম্যাক্সের অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্ববাসী,বছর শেষে সে পালার সমাপ্তি হয়নি।তবে একঘেয়ে সে নাটকের শেষ নয়। আপাতত তার ইন্টারমিশন দেখেই কেউ শঙ্কিত, কেউ বা মুখ টিপে হাসছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#এথেন্স: তিন পয়সার পালা।2015-র শুরুতে গ্রিস সঙ্কট নামে যে পালার রুদ্ধশ্বাস ক্লাইম্যাক্সের অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্ববাসী,বছর শেষে সে পালার সমাপ্তি হয়নি।তবে একঘেয়ে সে নাটকের শেষ নয়। আপাতত তার ইন্টারমিশন দেখেই কেউ শঙ্কিত, কেউ বা মুখ টিপে হাসছেন।
advertisement

বছরের সেরা ডিগবাজির প্রতিযোগিতায়, একেবারে উপরের দিকে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন আলেক্সিস সিপ্রাস।41 বছর বয়সী তরুণতম গ্রিক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এলেন বছরের প্রথম মাসে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে যা যা বন্ধ করবেন বলেছিলেন, চেয়ারে বসার একমাসের মধ্যে সেগুলোই আরও বেশি করে করতে শুরু করলেন। অনেক টানাপড়েন শেষে 86 বিলিয়ন ইউরোর অর্থনৈতিক ত্রাণ প্যাকেজে যখন স্বাক্ষর করলেন সিপ্রাস, তখন তার অর্থমন্ত্রীই তার পাশে নেই। কারণ, প্রবল মতবিরোধের জেরে কেবল সিপ্রাসের মন্ত্রিসভা নয়, ততক্ষনে সিরিজা পার্টি থেকেই পদত্যাগ করেছেন তার অর্থমন্ত্রী।এখানেই ভাঙন থামেনি। শেষমেশ, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ন’মাসের মাথায়, আবার ভোটে যেতে হল সিপ্রাসকে। তাতে ক্ষমতায় ফেরা আটকায়নি। সিরিজা ভেঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া অংশ বা গ্রিসের কমিউনিস্টরা নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। উৎসাহিত সিপ্রাস দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে কোয়ালিশন করে সেপ্টেন্বরে সরকারে ফিরলেন।

advertisement

গ্রিসে বহুদিনের পরিচিত টোটকা,যদি সরকার গ্রিসের জাহাজ শিল্পের উন্নতি চায়,তবে দূরে সরে থাকুক।IMF আর ইউরোপিয় ইউনিয়নের চাপে বিশ্বের বৃহত্তম সেই জাহাজ শিল্পেই কর বসিয়ে দেশকে গাড্ডায় ফেলেছেন সিপ্রাস। এসবের টাটকা ফল, গত চল্লিশ বছরে গ্রিসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট হয়েছে বারোই নভেম্বর।তবে তাতেও দমেননি সিপ্রাস। জার্মানির চাপে ত্রাণ প্যাকেজ মেনে অর্থনৈতিক সংস্কার বিল পাস করেই ক্ষান্ত হননি গ্রিক প্রধানমন্ত্রী। গ্রিসে সবচেয়ে বড় চারটি জাতীয় ব্যাঙ্ক 7 বিলিয়ন ডলারে বেসরকারি মালিকদের হাতে বিক্রি হয়েছে।এই চারটি ব্যাঙ্কের শুধু সম্পত্তির পরিমাণ 358 বিলিয়ন ডলার।তিনটি ব্যাঙ্কের প্রতিটি শেয়ারের গড়ে দাম পড়েছে 3 পেনি।

advertisement

বিদেশিদের হাতে জলের দরে দেশের সম্পত্তি বেচতে দেখেই দ্রুত সিপ্রাসের থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন গ্রিসের জনতা। বামপন্থী স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা সিপ্রাস সেসব দেখে বছর শেষে আর একবার ডিগবাজি দিয়েছেন।বলেছেন পরবর্তী ত্রাণ প্যাকেজের সময় IMF যেন নাক না গলায়।গোটা প্রক্রিয়ায় IMF-কে জড়িয়ে রাখতে আবার মরিয়া অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের জার্মানি।রকমসকম দেখে মুখ টিপে হাসছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।সিপ্রাসের বিরোধী দল নিউ ডেমোক্রেসি অন্তর্দ্বন্ধে ঝাঁঝরা।এখনও নিজেদের নেতাই ঠিক করে উঠতে পারেনি।দেশে বেড়ে চলা অসন্তোষ দেখে সিপ্রাস এই সুযোগে নাকি আর একবার নির্বাচন সেরে ফেলতে চান। বিরোধীদের অপ্রস্তুত অবস্থায় সহজেই জিতে যাবেন এমনটাই তার বিশ্বাস।তাই বছর শেষে সিপ্রাস আবার পুরনো বিপ্লবী মেজাজে। তবে অর্থনীতির অঙ্কে তার দাম বড়জোর ওই তিন পেনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Uncategorized/
আর্থিক অনিশ্চয়তায় বিপন্ন গ্রিস