এ বছর রেকর্ড ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৩০৮ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে। পরীক্ষার্থীদের মত পাশের হারেও রেকর্ড গড়ল মেয়েরা। এ বছর ৭৯.৬২ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিক পাশ করেছে। ছেলেদের সঙ্গে মেধা তালিকাতেও সমান টক্কর মেয়েদের। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে তিনজনের মধ্যে দু’জন ছাত্রী। বাঁকুড়ার তিতাস দুবে ও হুগলির দেবদত্তা পাল ৬৮২ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয়স্থান দখল করেছে। দেবদত্তা চুঁচুড়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বিদ্যামন্দিরের পড়াশোনা করে তিতাস।
advertisement
তিতাস ও দেবদত্তা ছাড়াও ৬৮০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনুজা দাস। পঞ্চম স্থান দখল করেছে চুঁচুড়া বাণীমন্দিরের ছাত্রী সায়রী ভট্টাচার্য, মালদহ বার্লো গার্লস হাইস্কুলের মধুরিমা ঘোষ ও মেঘাশ্রিতা দাস, রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের অন্বেষা মিত্র। এদের সবারই প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯। মেধাতালিকায় সপ্তম স্থানে পম্পা সিনহা মহাপাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭। তার ঠিক পরেই মালদহ শ্যামসুখী বালিকা শিক্ষানিকেতনের মানসী প্রামাণিকের স্থান অষ্টম।
কলকাতাতেও পাশের হারের নিরিখে ছেলেদের টেক্কা দিয়েছে মেয়েরা। মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে সারদা বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছাত্রী সৃজিতা দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫। মেধাতালিকায় সৃজিতার স্থান নবম। পর্ষদ সূত্রে খবর, কলকাতায় মেয়েদের পাশের হার ৯২.৪০ শতাংশ।
জঙ্গলমহলের দুই জেলা পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও মেয়েদের পাশের হার উল্লেখযোগ্য। পুরুলিয়ায় ৯২.২৪ শতাংশ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ৮৪.০৭ শতাংশ মেয়েই মাধ্যমিকে সাফল্যের মুখ দেখেছে।