কেন ভ্যাকসিনের অভাব দেখা গেল দেশে?
আপাতত আমাদের দেশে দু'টি কোভিড ভ্যাকসিন আছে- Covishield এবং Covaxin। সমস্যা হল, এই দুই ভ্যাকসিন যে পরিমাণে তৈরি হয়েছিল, তার অনেক ডোজ ইতিমধ্যে নষ্ট হয়েছে। অন্য দিকে, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ভারতীয় সংস্থাগুলোর চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে জোগান সরবরাহের সামর্থ্য নেই।
বিকল্প পন্থা কি?
advertisement
এই প্রসঙ্গে অর্থনীতির সূত্র ধরেই সঙ্কট থেকে উদ্ধারের সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে। দেশে যদি কোনও কিছু তৈরি করা না যায় অথচ তার প্রবল প্রয়োজন থাকে, তাহলে আমদানি-ই একমাত্র পন্থা। তাই সরকারের তরফে চেষ্টা চলছে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনানোর। এই ব্যাপারে রাশিয়া দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেখান থেকে Sputnik V ভ্যাকসিন ভারতে আসবে বলে শোনা গিয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই রাশিয়ার এই করোনা ভ্যাকসিনের কিছু ডোজ ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা!
কিন্তু বিশ্ববাজারে সব চেয়ে জনপ্রিয় ভ্যাকসিন আপাতত Moderna এবং Pfizer। এই দুই ভ্যাকসিন দেশে আমদানি হচ্ছে না কেন? ঠিক কী সমস্যা হচ্ছে?
Moderna কেন ভারতে ভ্যাকসিন দিতে চাইছে না?
কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ জানিয়েছে যে দেশে Modderna আমদানি নিয়ে বিদেশের অনেক দেশের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। তবে সেই সব দেশগুলোর রয়েছে খটকা- ঠিক কতটা পরিমাণ ভারতে পাঠালে নিজেদের সমস্যায় পড়তে হবে না, সেই নিয়ে চলছে আলোচনা। অন্য দিকে, ভারতের মতো বিশাল একটি বাজার লাভজনক সাব্যস্ত হলেও ইতিমধ্যেই বিশ্ববাজারের জোগান নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে Moderna, ফলে সংস্থার সঙ্গেও সরাসরি চুক্তির পথ এখনই খোলা নেই।
Pfizer ভ্যাকসিনের আমদানি নিয়ে কী সমস্যা হচ্ছে?
দেশে যখন নানা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছিল, সেই সময়ে কিন্তু Pfizer আবেদনপত্র জমা করেছিল। তবে পরে সংস্থা সেটা আবার প্রত্যাহারও করে নেয়। জানা গিয়েছে যে মূল সমস্যাটি এক্ষেত্রে জড়িয়ে রয়েছে সংস্থার বিমা বন্ডের সঙ্গে। Pfizer সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে বিশ্বের যে সব দেশে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে, সেখানে Pfizer প্রয়োগে কারও মৃত্যু হলে সংস্থাকে দায়ী করা চলবে না। এই চুক্তিতে রাজি হলে তবেই ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে Pfizer। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রস্তাবে রাজি হতে পারছে না, ফলে সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে, কোনও সুরাহা এখনও হয়নি।