এদিন বাজেট পেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘রাজ্যের প্রতিটি কর্মসূচিতে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ একটা কর্মসূচিও বাতিল করা হয়নি ৷ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কর্মসূচির কথা জানতে হলে,সবাইকে বাংলায় আসতে হবে ৷ সমাজের সর্বস্তরে মানবিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ৷ এটাই এই বাজেটের মানবিক মুখ ৷ এটা আর কোথাও পাবেন না ৷’
advertisement
আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতা পালনে বদ্ধপরিকর রাজ্য। সেই দিশা দেখিয়েছে রাজ্য বাজেট। আাগামী দিনে উন্নয়নে সরকারেরঅভিমুখও স্পষ্ট হয়েছে বাজেটে। অমিত মিত্রের বাজেট প্রস্তাবকেই তাই সেরার সার্টিফিকেট মুখ্যমন্ত্রীর।
বাম আমলের দেনা শুধতেই বেরিয়ে যাচ্ছে বড় অঙ্কের টাকা। এই পরিস্থিতিতে সব উন্নয়ন প্রকল্প চালু রাখাটাই সাফল্য মানছেন মুখ্যমন্ত্রী। নোট বাতিলে রাজ্যে মন্দার পরিস্থিাতি। ঝুঁকছে ছোট ও মাঝারি শিল্প। রাজ্যের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ যে ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত, তাদের স্বস্তি দিতে উদ্যোগী রাজ্য, এই আশ্বাসই দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে সিপিএম বন্ড নিয়েছিল ৷ বাজার থেকে বন্ড নিয়েছিল সিপিএম ৷ আজ আমাকে সেই টাকা শোধ করতে হচ্ছে ৷ এই টাকা আমাকে শোধ করতে হবে কেন? ২০০৬ থেকেই রাজ্যের অর্থনীতি ধুঁকছে ৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও আমরা এত কর্মসূচি নিয়েছি ৷ যে রাজ্যটা এতটা কাজ করতে পারে ৷ সেই রাজ্যকে তো পুরস্কার দেওয়া উচিত কেন্দ্রের ৷ অসংগঠিত শ্রমিক, ক্ষুদ্র শিল্পের শ্রমিকরা - এই বাজেটের মাধ্যমে জীবন ফিরে পাবেন ৷ অনটন সত্ত্বেও আমরা ওদের জন্য কাজ করব ৷ আশা কর্মীদের টাকা বাড়িয়েছি ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের টাকা বাড়িয়েছি ৷ কৃষকদের বিশেষ তহবিল করা হয়েছে৷ কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না৷ আমাদের হাতে এর থেকে বেশি টাকা নেই ৷ যতটা সম্ভব হয়েছে ততটাই কাজ করেছি ৷’
পণ্য পরিষেবা কর চালুতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য। তবে এব্যাপারে রাজ্যের স্বার্থ নিশ্চিত করেই এগোনো হবে বলেও বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
সামাজিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ১৪ হাজার কোটি। তারপরও আরও বেশি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনছে রাজ্য। প্রাপ্য টাকা হাতে থাকলে উন্নয়ন আরও গতি পেত। আফসোস স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।