বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন সুনীলের স্ত্রী সুজাতা পাণ্ডে। সুনীল পাণ্ডের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান সুজাতা। প্রায় মিনিট ১৫ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেডিকার বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ জানান তাঁরা। পুরো ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুজাতার দাবি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মেডিকার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলে অাশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব যাদবপুর থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
advertisement
মেডিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে যান সুনীল পাণ্ডের পরিজন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে মেডিকার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির নথিও জমা দেন তাঁরা। স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান সুনীলের স্ত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত পাটুলির বাসিন্দা সুনীলের বাঁ পা কেটে বাদ দেওয়ায় কাঠগড়ায় মেডিকার চিকিৎসকরা। সোমবারই মারা যান সুনীল।
আক্রান্ত হয়েছিলেন হৃদরোগে। রোগীর পা কেটে বাদ দেন চিকিৎসকরা। শেষপর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি পাটুলির সুনীল পাণ্ডেকে। এর পরেই মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব মৃতের পরিবার। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। পরিবারের অভিযোগ,
কাঠগড়ায় মেডিকা
- ৬ মার্চ দুপুর দেড়টায় চিকিৎসকরা জানান সুনীলের পায়ে 'ক্লট' বেঁধেছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু অস্ত্রোপচার শুরু করতেই সন্ধে গড়িয়ে যায়
- ১১ মার্চ সুনীলের বাঁ-পা কেটে বাদ দিতে হয়। চিকিৎসক সুনীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরের ২৪-৩৬ ঘণ্টা 'হাই রিস্ক' জোনে থাকবেন রোগী। তা সত্ত্বেও রোগীকে আর দেখতে আসেননি চিকিৎসক
- সোমবার সুনীলের মৃত্যুর পর মেডিক্যাল রিপোর্ট দিতে চায়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মেডিক্যাল রিপোর্ট দিয়ে দেয় মেডিকা
স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করতে চান মৃত সুনীলের স্ত্রী।
বাবাকে হারিয়ে এখন দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছে সুনীলের বারো বছরের ছেলে পীযূষও। স্বাস্থ্য ভবনের পাশাপাশি এদিন পূর্ব যাদবপুর থানাতেও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি জমা দেয় সুনীলের পরিবার।
বারবার বেসরকারি হাসাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। মেডিকার বিরুদ্ধে রাজ্য কঠোর পদক্ষেপ করছে বলেই আভাস মিলেছে।