শনিবার জেরা পর্বচলাকালীন ধর্মীয় ভাবাবেগ ও জনরোষকে হাতিয়ার করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছেন মূল অভিযুক্ত তাপস মল্লিক ৷ এদিনও ভবানী ভবনে ঢোকার সময় তাপস মল্লিক দাবি করেন, আমার কোনও দোষ নেই ৷’
গত ৯ মে রাতে ডায়মন্ডহারবারের হরিণডাঙা পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও প্রমাণ ছাড়াই মোষ চোর অপবাদের অজুহাতে কৌশিক পুরকায়েত নামে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ মৃত ছাত্রের বাড়ি মন্দিরবাজারের গুমটিতে ৷ দঃ বারাসত কলেজে বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল সে ৷ ছুটিতে বাহাদুরপুরে মাসির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি ৷ ছেলেকে বাঁচাতে কৌশিকের মা সেখানে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ আহত কৌশিককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে সেখানেই ফেলে রেখে দেড় লক্ষ টাকাও চাওয়া হয় ৷ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে ছেড়ে দেওয়া হয় কৌশিককে। এরপর প্রথমে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল ও পরে কলকাতার এসএসকেএমে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় কৌশিকের। এই ঘটনায় দশজনের নামে অভিযোগ দায়ের হলেও মূলত অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তাপস মল্লিকের দিকে ৷ এমনকি মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুরানো পারিবারিক শত্রুতার জেরে কৌশিককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ৷
advertisement