সকলের মনেই জ্বলজ্বল করছে গত ২৯ এপ্রিল ভোররাতে ঘটা দুর্ঘটনা ৷ অকালে ঝরে পড়া নিরীহ একটি মেয়ের মৃত্যুর দায় কার সেই নিয়েছে চলেছে অজস্র দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা ৷
প্রথম থেকেই বারবার সোনিকার বন্ধুরা বিক্রমের শাস্তির দাবিতে সরব। ফেসবুকে জাস্টিস ফর সোনিকা পেজ খুলে বিক্রমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্ট করতে থাকেন বন্ধুরা। যদিও বারবার বয়ান বদলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছিলেন বিক্রম। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে চাপে পড়ে তা স্বীকার করে নেন। এরপরই বিক্রমের শাস্তির দাবি আরও জোরালো হতে থাকে।এই পুরো পর্বে বরাবরই নীরব ছিলেন সোনিকার খুব কাছের বন্ধু সাহেব ৷ শুধু সত্যিটা বাইরে আসার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন তিনি ৷ কাজের সূত্রেই নয় কাজের জগতের বাইরেও বিক্রমের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল সাহেবের ৷
advertisement
এহেন সাহেব এদিন বিক্রমের গ্রেফতারির পর প্রথমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন ৷ এদিন তিন লেখেন, ‘অনেকে ভেবেছিলেন আইন কিছু করবে না ৷ ভেবেছিলেন, সব আশা ছেড়ে দেব ৷ অপরাধীদের জন্য সুড়ঙ্গের শেষে আলো থাকবে, অনেকে এমনও ভেবেছিলেন ৷ কিন্তু তাঁরা এটা কখনও ভাবেননি যে,ওই আলো কোনও চলন্ত ট্রেনেরও হতে পারে ৷’ এই পোস্টের শেষে ছিল #JusticeForSonika
গোটা লেখায় সাহেব কারও নাম না করলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, পুরো লেখাটিই অভিযুক্ত বিক্রমকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন প্রয়াত সোনিকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ৷ প্রথম থেকেই সোনিকার বন্ধুরা মদ্যপ অবস্থা গাড়ি চালানোর জন্য বিক্রমকেই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে এসেছেন ৷ তাঁদের দাবি, বিক্রমের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্যই আজ সোনিকা তাদের সঙ্গে নেই ৷
ছোট থেকেই গাড়ি আর স্পিড এই দুটো জিনিসের প্রতিই তীব্র আকর্ষণ অনুভব করতেন সোনিকা সিং চৌহান ৷ খুব অল্প বয়সেই সাফল্য আর খ্যাতিতে ভরে উঠেছিল মডেল-অ্যাঙ্কার সোনিকার ঝুলি ৷ প্রতিভাবান এই সুন্দরীর সম্ভাবনাময় জীবনে মাত্র আঠাশেই পড়ে গেল যতিচিহ্ন ৷ দায় কার? এখনও সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি ৷