তিরুচেন্দুরের অরুমুগানেড়ির বাসিন্দা গণেশ। দরিদ্র পরিবারে ছোট থেকে জীবন কেটেছে। এর পর ১৯৬৫ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৪ সালে সাউদার্ন পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনে (Southern Petrochemical Industries Corporation) চাকরি জীবন শুরু করেন। ২০০৪ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এই বয়সে বেশিরভাগ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা অবসরেই জীবন কাটাতে আগ্রহী হন। কিন্তু, গণেশ তেমনটা করেননি। তিনি অবসর গ্রহণের পরই স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর চার সন্তান ও ছয় নাতি-নাতনি রয়েছে। এমনকী নাতনির পরিবারেও সন্তানের জন্ম হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- লেজ ধরতেই একেবারে ফণা তুলে দাঁড়াল কিং কোবরা ! হাড়-হিম করা ভিডিও ভাইরাল
থুথুকুডির রহমত নগরের বাড়িতে বসে গণেশ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মা-বাবা কৃষি কাজ করতেন। ফলে সেই সময় তাঁরা আমার উচ্চশিক্ষার জন্য কোনও উদ্যোগ নিতে পারেননি। আমি এখন নতুন করে পড়াশোনা করছি কারণ, আমার অন্তর সেটাই চায় সব সময়। আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে আমার। কর্মক্ষেত্রে কয়েকবার আমাকে কম পড়াশোনার জন্য অপমানিত হতে হয়েছে। তাই এখন পড়াশোনার জেদ মাথা চেপেছে।”
অবসরের পর গণেশ প্রথমে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। এর পর ২০০৮ সালে সমাজবিজ্ঞান (Sociology) নিয়ে BA-র পড়াশোনা শুরু করেন। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গণেশ সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস (History), পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (Public Administration), রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science), হিউম্যান রাইটস (Human Rights), সোশ্যাল ওয়ার্ক (Social Work), অর্থনীতি (Economics) এবং তামিল (Tamil) ভাষায় ডিগ্রি অর্জন করেন।
গণেশ বলেন, “তামিলনাড়ুর মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি করার আবেদন করার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে চিঠি লিখেছেন। এই ডিসেম্বরে একটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছে আমাকে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমার বয়স ও ইচ্ছের কথা বিচার করে প্রবেশিকা পরীক্ষা ছাড়াই পিএইচডি করার অনুমতি দেওয়া হোক”।