আসলে সাধারণত বেশিরভাগ বাইক আরোহীই পেট্রোল পাম্পে গিয়ে বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্ক পুরোপুরি ভরান না বা বাইকের ট্যাঙ্ক ফুল করেন না। বরং ফুয়েল ট্যাঙ্কটি অর্ধেকের একটু বেশি কিংবা অর্ধেকের একটু কম জ্বালানি ভরিয়ে থাকেন। আসলে বেশিরভাগ মানুষই বাইকের ট্যাঙ্ক ফুল রাখার অসুবিধা বা অনুপযোগিতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। কারণ দীর্ঘমেয়াদে এটা বাইককে বিকল পর্যন্ত করে দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আজকের প্রতিবেদনে বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্ক ফুল রাখার বা পুরোপুরি ভর্তি রাখার সুবিধা প্রসঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
দুর্দান্ত মাইলেজ:
১. ফুয়েল ট্যাঙ্ক যদি ফুল থাকে, তাহলে ইঞ্জিনে ফুয়েল বা জ্বালানির প্রেশার স্থির থাকে।
২. এর ফলে ইঞ্জিন ভাল ভাবে নিজের সমস্ত শক্তিকে কাজে লাগায়, আর মাইলেজও ভাল হয়ে যায়।
৩. ফুয়েল ট্যাঙ্ক অর্ধেক বা অর্ধেকের কম ভরা থাকে, তাহলে ইঞ্জিনকে বেশি কাজ করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে মাইলেজের উপর।
ফুয়েল পাম্পের সুরক্ষা:
১. ট্যাঙ্ক ফুল থাকলে ফুয়েল পাম্প ঠান্ডা এবং তৈলাক্ত থাকে।
২. বাইকের ট্যাঙ্কে কম জ্বালানি থাকলে তা পাম্পকে অতিরিক্ত গরম করে এর আয়ু বা লাইফ কমিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- ১৬০০ কোটি পাসওয়ার্ড ফাঁস! আপনারটা নেই তো? বিরাট আশঙ্কায় কী পরামর্শ Google-এর? সতর্ক হন
কম কন্ডেসেশন:
১. বাতাসের সংস্পর্শে আসার কারণে খালি ট্যাঙ্কে ঘনীভবন বা কন্ডেসেশন (জলের ফোঁটা) তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. আর এরপর সেই জলের ফোঁটা জ্বালানির সঙ্গে মিশে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণে আরাম:
১. গাড়ির ট্যাঙ্ক জ্বালানি দ্বারা পূর্ণ করা থাকলে ঘন ঘন থামার প্রয়োজন হয় না।
২. যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় বেঁচে যায় এবং ভ্রমণ আরও আরামদায়ক হয়ে ওঠে।
খরচ সাশ্রয়:
১. জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই বাইক আরোহী নিজের বাইকের ট্যাঙ্কটি ফুল রাখতে পারবেন।
২. এটি ভবিষ্যতে বর্ধিত দামের প্রভাব অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।