Password Leak Alert: ১৬০০ কোটি পাসওয়ার্ড ফাঁস! আপনারটা নেই তো? বিরাট আশঙ্কায় কী পরামর্শ Google-এর? এখনই সতর্ক হন

এক ব্যাপক ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করেছেন নিরাপত্তা গবেষকরা। এই তথ্য লঙ্ঘনের ফলে গোটা বিশ্বের প্রায় ১৬ মিলিয়ন লগ-ইন ক্রেডেনশিয়াল বিপদের মুখে পড়ে গিয়েছে। ফাঁস হওয়া ডেটা আবার Google, Facebook, Apple এবং অন্যান্য অগণিত পরিষেবার মতো ডেটা প্ল্যাটফর্মে ইউজার ডেটা ছড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলা গবেষণায় এই বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করেছেন CyberNews গবেষকরা। আর এটাই ইতিহাসের সবথেকে বড় ক্রেডেনশিয়াল লিক বলে আখ্যা পেয়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ডেটার আকার নাটকীয় ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে - লক্ষ লক্ষ রেকর্ড ধারণকারী ছোট কালেকশনগুলি থেকে শুরু করে ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি সার্টিফিকেট ধারণকারী বিশাল ডেটাবেস পর্যন্ত। চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ তথ্যভাণ্ডার লকডাউন করার আগে অসুরক্ষিত ডেটাবেসের মাধ্যমে অল্প সময়ের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য ছিল, যদিও গবেষকরা এর মালিকদের শনাক্ত করতে পারেননি। সবথেকে বড় উদ্বেগের বিষয় হল, ভার্চুয়াল ভাবে সমস্ত ডেটাসেট আগে রিপোর্ট করা হয়নি। মে মাসে Wired ম্যাগাজিন কর্তৃক এর আগে মাত্র ১৮৪ মিলিয়ন ডলারের একটি ডেটাবেস প্রকাশ করা হয়েছিল।

ডেটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে কি না, সেটা কীভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব? নিজের লগ-ইন ক্রেডেনশিয়াল ঝুঁকির মুখে পড়েছে কি না, সেটা পরীক্ষা করার একাধিক উপায় রয়েছে। নিম্নলিখিত উপায়গুলিতে পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন ব্যবহারকারীরা।

১. ইমেল অ্যাড্রেস: প্রথমে নিজের ইমেল অ্যাড্রেস এন্টার করতে হবে। সেটা কোনও ডেটা ব্রিচেসে উপস্থিত রয়েছে কি না, সেটা যাচাই করে দেখতে হবে।

২. Google পাসওয়ার্ড চেকআপ: Chrome এবং নিজের Google অ্যাকাউন্টের মধ্যে থাকা এই টুলটি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ডের ক্ষতি করেছে কি না, তা দেখা যাবে। আর তা আপডেট করার পরামর্শ দেবে।

৩. F-Secure Identity Theft Checker: লিক হওয়া ডেটা এবং আইডেন্টিটি থেফট ইন্ডিকেটরের উপর ভিত্তি করে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট অফার করে এটি।

ক্রেডেনশিয়াল যদি ফাঁস করা হয়, তখন কী করণীয়? অনলাইন লিকে যদি ডেটা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সংশোধনমূলক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

১. ইমেল, ব্যাঙ্কিংএবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট-সহ নিজের পাসওয়ার্ড সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা উচিত। ২. নিজের অ্যাকাউন্টের জন্য সব সময় শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। ৩. সম্ভব হলে আরও সুরক্ষার জন্য টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এনেবল করতে হবে।

৪. পুরনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা চলবে না। ৫. নিরাপদ ক্রেডেনশিয়াল স্টোর করার জন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে লগ্নি করার কথা ভাবতে পারেন ব্যবহারকারীরা।