যাত্রী সুরক্ষা: প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকলেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকে ট্রেন ঢোকার আগে থেকেই উঁকিঝুঁকি মারেন। একেবারে লাইনের কাছ চলে যান। এটা বিপজ্জনক। যে কোনও সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই লাইন যাত্রীদের সতর্ক করে দেয় যে সীমার মধ্যে দাঁড়াতে হবে। টপকালে বিপদ হতে পারে।
আরও পড়ুন- Honda Activa-র ইলেকট্রিক ভার্সন এল বাজারে, ভারতে সুপারহিট এই স্কুটি
advertisement
ট্রেনের গতির কারণে বাতাসের চাপ: বিপুল গতিতে দৌড়য় ট্রেন। তারপর ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। কিন্তু সেটাও কম নয়। এই গতির কারণেই বাতাসে চাপ সৃষ্টি হয়। প্ল্যাটফর্ম ঘেঁষে দাঁড়ালে বাতাসের চাপের কারণে যাত্রীর ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হলুদ লাইন ভুলেও টপকাতে নেই।
লোডিং এবং আনলোডিংয়ের সুবিধা: ট্রেনে এলেই যাত্রীদের ওঠানামা শুরু হয়। একদল যাত্রী কামরা থেকে হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করেন। অন্য দিকে, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু করে দেন। সবাই যাত্রী নন, প্ল্যাটফর্মে অন্যান্য লোকও থাকেন। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই লাইন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো লোকজন এবং ট্রেনে ওঠানামা করা যাত্রীদের মধ্যে একটি সুশৃঙ্খল স্থান নিশ্চিত করে।
কম দৃষ্টি বা দৃষ্টিহীন যাত্রীদের জন্য: প্ল্যাটফর্মে আঁকা এই লাইনের মধ্যে ট্যাকটাইল মার্কস থাকে অর্থাৎ উত্তল চিহ্ন। এতে দৃষ্টিহীন বা কম দৃষ্টি সম্পন্ন যাত্রীদের বুঝতে সুবিধা হয় যে তাঁরা নিরাপদ স্থানেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দূর্ঘটনার কোনও সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন- সাবধান! রুম হিটার ব্যবহারের আগে জানুন! নয়ত জলের মতো টাকা খরচ হবে
নিরাপত্তা বিধি সম্পর্কে সচেতনতা: প্ল্যাটফর্মে সব যাত্রীরই ট্রেন ধরার তাড়া থাকে। তখন আর অন্য কিছু মাথায় থাকে না। ফলে দূর্ঘটনাও ঘটে অহরহ। এই পরিস্থিতিতে হলুদ লাইন এক ধরণের সতর্কবার্তা। যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধি সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়ার উপায়।
যাত্রীদের জন্য সতর্কতা: স্টেশনে ঘোষণার সময়ও যাত্রীদের হলুদ লাইনের সীমার মধ্যে থাকতে বলা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, এই লাইন টপকালে বিপদ হতে পারে। এই লাইন রেলওয়ে নিরাপত্তার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যাত্রী নিরাপত্তার প্রাথমিক ধাপ। তাই সব যাত্রীরই এই নিয়ম মেনে চলা উচিত।