ওপেনএআই জানিয়েছে, অল্টম্যানকে ছাঁটাই করেছেন বোর্ড। এটা পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত’। কিন্তু কেন? ওপেনএআই বলছে, ‘অল্টম্যান বোর্ডকে সবকিছু খোলাখুলি জানাচ্ছিলেন না। এতে কাজের ক্ষতি হচ্ছিল’। এরপরই বোর্ড জানিয়ে দেয়, ‘ওপেনএআই-কে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অল্টম্যানের ক্ষমতার উপর আমাদের আস্থা নেই’।
আরও পড়ুন: ২২টি বেআইনি অ্যাপের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জারি সরকারের! আপনার মোবাইলে নেই তো?
advertisement
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ওপেনএআই বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি। প্রায় ১০০ মিলিয়ন সক্রিয় ইউজার রয়েছে। সেই কোম্পানির সিইও ছাঁটাইয়ের ঘটনায় গোটা বিশ্বেই হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা আইএএনএস একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘বোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে একটা বড় চুক্তি করেছিলেন অল্টম্যান’। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনা ভালভাবে নেয়নি সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘আমার স্কুল-কলেজের সময় এরকম…’! ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ফাঁস নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রশ্মিকা
সেমাফোর জানাচ্ছে, ‘অল্টম্যান ‘হার্ড টেক’-এর উপর ফোকাস করার জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড তোলার চেষ্টা করছিলেন। অধিগ্রহণ বা একীকরণ সংক্রান্ত চুক্তি হলে সেটা বোর্ডের কাছে বড় ধাক্কা হত। হয়তো সে কারণেই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে’, লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ওপেনএআই-এর আর্থিক পরিস্থিতি: অর্থ সঙ্কটে ওপেনএআই। প্রতিদিন প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু লাভ ঘরে ঢুকছে না। চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে খুব শীঘ্র ফান্ড না পেলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
চ্যাটজিপিটি-র কাজ চালাতে প্রতিদিন ৭০,০০০ ডলার বা ৫.৮০ কোটি টাকা খরচ হয়। এক্স হ্যান্ডেলে অল্টম্যান নিজেও এ কথা স্বীকার করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘খরচের বহর দেখলে চোখে জল চলে আসবে’। রিপোর্ট অনুযায়ী, অল্টম্যান গোপনে একটি প্রকল্প নিয়েছিলেন, মোটা টাকায়, বোর্ড সেটা জানত না।
টেকক্রাঞ্চ-এর অনুমান, আর্থিক বিভাগে বড়সড় গরমিলের কারণে অল্টম্যানকে বরখাস্ত করা হতে পারে। আবার এটাও হতে পারে যে অল্টম্যান এমনভাবে ফান্ড তুলতে বা বিনিয়োগ করতে চাইছিলেন যা বোর্ডের পছন্দ নয়। তাই অল্টম্যানের ছাঁটাইয়ের আসল কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।