সম্প্রতি চিকিৎসাক্ষেত্রে এআই লার্জ মাল্টি-মডাল মডেল ব্যবহারের সুবিধা এবং ঝুঁকিগুলো নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালায় হু। এআই লার্জ মাল্টি-মডাল মডেল বা এলএমএম হল জেনারেটিভ এআই যা ছবি, টেক্সট, ভিডিও-সহ একাধিক ধরনের ডেটা ইনপুট ব্যবহার করতে পারে এবং আউটপুট তৈরি করতে পারে। অ্যালগরিদমের ডেটার চেয়েও এর বিস্তৃতি ব্যাপক।
আরও পড়ুন: কাজের সময় উধাও নেটওয়ার্ক? ফোনের সেটিংস-এ গিয়ে করুন এইসব পরিবর্তন, জেনে নিন টিপস
advertisement
হু বলছে, ‘ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ওষুধের উন্নয়নে এলএমএমের ব্যাপক ব্যবহার এবং প্রয়োগ করা হবে’। রাষ্ট্রপুঞ্জের হেলথ এজেন্সি পাঁচটি ক্ষেত্রের রূপরেখা তৈরি করেছে যেখানে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করা যেতে পারে। সেগুলি হল ক) রোগ নির্ণয়, যেমন রোগীদের লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খ) বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ওষুধের উন্নয়ন গ) চিকিৎসা এবং নার্সিং শিক্ষা ঘ) ক্লারিকাল কাজ এবং ঙ) উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয়।
তাহলে সমস্যা কোথায়? হু-র আশঙ্কা, এলএমএম ভুল, পক্ষপাতদুষ্ট বা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট লিখতে পারে। কারণ ডেটা ভুল হলে বা মান খারাপ হলে এআই-এর নিজে থেকে বোঝার ক্ষমতা নেই। সে ভুল রিপোর্টই বের করবে। হু সতর্ক করে বলেছে, ‘স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধের উন্নয়নে এলএমএমের ব্যাপক ব্যবহার হলে ভুলভ্রান্তি, অপব্যবহার এবং শেষপর্যন্ত মানুষের ক্ষতি অনিবার্য’।
সরকার, প্রযুক্তি সংস্থা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে এলএমএম পরিচালনা এবং এর নৈতিক দিক ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছে হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করার ক্ষমতা রয়েছে জেনারেটিভ এআই-এর। তবে এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা দরকার’। তাঁর কথায়, ‘এলএমএম-র ডিজাইন, বিকাশ এবং ব্যবহার পরিচালনার জন্য সঠিক তথ্য এবং স্বচ্ছ নীতির প্রয়োজন’। এই বিষয়ে হু আরও বলছে, ‘এলএমএম ব্যবহারে রোগীর ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্যও পলিসি আনা উচিত সরকারের’।