আসলে ক্লাচ, ব্রেক এবং গিয়ারের কাজ নির্দিষ্ট করা আছে। সেই অনুযায়ী তাকে চালনা করতে হয়। আর গোটাটা নির্ভর করে পরিস্থিতির উপরে। কেমন? দেখে নেওয়া যাক সেটাই।
প্রথম পরিস্থিতি: ধরা যাক, চলন্ত বাইকের সামনে হঠাৎ কেউ এসে গেল। এই পরিস্থিতিতে ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে চাপতে হবে। অর্থাৎ জরুরি পরিস্থিতিতে ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে চাপা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ফোনের এক্সপায়ারি ডেট কোথায় লেখা থাকে জানেন? ৯০ শতাংশ মানুষ ভুল জানেন
এটা বাইকের অন্যান্য যন্ত্রাংশের ক্ষতি না করে থামার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তবে আচমকা ব্রেক লাগানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। নাহলে বাইক পাল্টি খাওয়ার সম্ভাবনা।
দ্বিতীয় পরিস্থিতি: ধরা যাক, ফাঁকা রাস্তায় ভাল স্পিডে বাইক ছুটছে। এই অবস্থায় গতি কমাতে ক্লাচ ব্যবহার না করে শুধু ব্রেক চাপা যায়। বাইকের গতি কমে যাবে। এখন যদি মনে হয় বাইক থামাতে হবে কারণ স্পিড গিয়ারের সর্বনিম্ন স্তরে চলে গিয়েছে, তাহলে ক্লাচ চেপে গিয়ার কমাতে হবে। নাহলে বাইক বন্ধ হয়ে যাবে।
তৃতীয় পরিস্থিতি: ধরা যাক স্বাভাবিক স্পিডে বাইক চলছে। এখন মনে হল, একটু ব্রেক করা দরকার। এই অবস্থায় শুধু ব্রেক চাপলেই হবে। ক্লাচ ব্যবহার করার দরকার নেই। ব্রেক শুধুমাত্র বাইকের স্পিড কমাতে বা ছোটখাটো বাধা এড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চতুর্থ পরিস্থিতি: ধরা যাক, স্পিড কম। এমন অবস্থায় ব্রেক চাপা দরকার। এক্ষেত্রে প্রথমে ক্লাচ চাপতে হবে, তারপর ব্রেক। কারণ আগে ব্রেক চাপলে বাইক গোঁত্তা মেরে থেমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- এক টন, ২ টন…! AC-তে এই ‘টন’ শব্দের মানে কী? ঘরের সাইজ অনুযায়ী এসি বাছতে জানুন
সাধারণত ফার্স্ট এবং সেকেন্ড গিয়ারে চালানোর সময় আগে ক্লাচ, তারপর ব্রেক চাপতে হয়। আর স্পিড বেশি থাকলে আগে ব্রেক চাপতে হবে। ওই সময় আগে ক্লাচ, তারপর ব্রেক চাপলে বাইক পিছলে যেতে পারে। ব্যস, এবার বাইক ছোটানো যাক মনের আনন্দে!